রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ১২:৫৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
পুলিশের এসআই হতে পুলিশ পরিদর্শক পদে বিভাগীয় পদোন্নতি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত মুক্তাগাছায় প্রেমিককে বশ করতে কবিরাজের কাছে এসে প্রেমিকা ধর্ষিতা শেরপুর পুলিশ লাইন্সে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ভারতের ঋণে বাংলাদেশে ২ সড়ক, লাভ কি? টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে জাল স্বাক্ষর করে বোনের নামে ফ্ল্যাটের মালিকানা হস্তান্তরের অভিযোগ শেখ হাসিনার চাচাত ভাই শেখ জুয়েল হলেন বিধান মল্লিক শেরপুরে মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী রুপালি গ্রেফতার ওসি প্রত্যাহারের খবর শুনে থানায় পাওনাদারদের ভীড় যৌথ বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত উল্লেখযোগ্য অভিযান সমূহের সারসংক্ষেপ: ০৬-১৩ মার্চ ‘‘ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত”

টিউলিপের পদত্যাগে তোপের মুখে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫
  • ১০২ দেখা হয়েছে :

যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের পর নতুন করে তোপের মুখে পড়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার।
সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে এক লেবার এমপি বলেছেন, টিউলিপকে মন্ত্রী বানানোর সিদ্ধান্ত ছিল আত্মঘাতী গোল। সবাই জানত বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সাথে তার সম্পর্ক ছিল। যাদের অনেক ক্ষমতা ও অর্থ আছে। তাকে এই দায়িত্ব দিয়ে এতসব কিছু করার বিষয়টি কী ভালো ছিল?

এদিকে লন্ডনের কিংস ক্রস এলাকায় একটি ফ্ল্যাট রয়েছে টিউলিপ সিদ্দিকের, যেটির মূল্য ১ লাখ ৯৫ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ কোটি ৯৩ লাখ ৯৭ হাজার টাকা)। গত ৩ জানুয়ারি এক প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্যের দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানায়, ২ শয্যাকক্ষের সেই ফ্ল্যাটটি ২০০৪ সালে টিউলিপকে উপহার দিয়েছিলেন আবদুল মোতালিফ নামের এক ডেভেলপার।

মোতালিফ বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী এবং টিউলিপের খালা শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। এই ফ্ল্যাটের তথ্য সামনে আসার পর ব্যাপক চাপের মুখে পড়েন টিউলিপ। এরপর বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। এসবের পর তার মন্ত্রিত্ব নড়েবড়ে হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত দুর্নীতির অভিযোগ মাথায় নিয়ে সরে যেতে হয়েছে তাকে।

গত বছর যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে জয় পায় লেবার পার্টি। এরপর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন কেয়ার স্টারমার। তিনি নতুন সরকারে যে মন্ত্রিসভা গঠন করেন সেখানে টিউলিপ সিদ্দিককে সিটি মিনিস্টারের দায়িত্ব দেন। তার কাজ ছিল দেশটির আর্থিক বিষয়াবলীতে সম্ভাব্য দুর্নীতি প্রতিরোধ করা। তবে যে দুর্নীতি প্রতিরোধের দায়িত্ব তাকে দেওয়া হয়েছিল, সেই দুর্নীতির অভিযোগের মুখে বাধ্য হয়ে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয়েছে তাকে। টিউলিপ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের খুব কাছের বন্ধু হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ৪২ বছর বয়সী টিউলিপ সিদ্দিক লেবার পার্টির সদস্য হন মাত্র ১৬ বছর বয়সে। ২০১৫ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে পূর্ব লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড আসন থেকে প্রথমবারের মতো প্রার্থী হন। তারপর থেকে এ পর্যন্ত ওই আসনে চার বার প্রার্থী হয়েছেন টিউলিপ, প্রতিবারই জয়ী হয়েছেন।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category