কুড়িগ্রাম জেলায় রাজারহাট উপজেলায় ৯ম শ্রেণির ছাত্রী মোহনা আক্তারকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।৬ ঘণ্টা বেঁধে রাখার পর থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে তাকে নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সূত্র জানায়,রাজারহাটের ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত নাখেন্দা গ্রামের মোস্তফা মিয়ার মেয়ে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোহনা আক্তারের ছোট বোন আশামনি (৯) বেশ কিছুদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিল। মোহনার দাদি তার নাতনির চিকিৎসার জন্য তার বাবাকে একটি গরু দেন। এ নিয়ে মোহনার নিকট আত্মীয় এক দাদু আব্দুল কাদের মোহনার বাবাকে ‘চোর’ সাব্যস্ত করে চৌকিদার পাঠিয়ে হুমকি দেন।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) মোহনা তার বাবাকে দেওয়া অপবাদের প্রতিবাদ করলে আব্দুল কাদেরের উঠানেই তিনি মোহানকে ধরে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন শুরু করেন।
ভুক্তভোগী মোহনা জানাম,তার দুঃসম্পর্কের দাদা আব্দুল কাদের সকাল ৯টার দিকে তাকে রশি দিয়ে গাছে বেঁধে রাখেন।গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাস রোধ করার চেষ্টা করেন এবং মারধর করে হাঁটু, গলা ও পিঠে জখম করেন।