রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০১:১৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
পুলিশের এসআই হতে পুলিশ পরিদর্শক পদে বিভাগীয় পদোন্নতি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত মুক্তাগাছায় প্রেমিককে বশ করতে কবিরাজের কাছে এসে প্রেমিকা ধর্ষিতা শেরপুর পুলিশ লাইন্সে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ভারতের ঋণে বাংলাদেশে ২ সড়ক, লাভ কি? টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে জাল স্বাক্ষর করে বোনের নামে ফ্ল্যাটের মালিকানা হস্তান্তরের অভিযোগ শেখ হাসিনার চাচাত ভাই শেখ জুয়েল হলেন বিধান মল্লিক শেরপুরে মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী রুপালি গ্রেফতার ওসি প্রত্যাহারের খবর শুনে থানায় পাওনাদারদের ভীড় যৌথ বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত উল্লেখযোগ্য অভিযান সমূহের সারসংক্ষেপ: ০৬-১৩ মার্চ ‘‘ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত”

চাকরিচ্যুত ৮৫ জন উপজেলা নির্বাচন অফিসার চাকরিতে পুনর্বহাল হচ্ছেন

রির্পোটারের নাম
  • প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
  • ৫১ দেখা হয়েছে :

বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত ৮৫ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে চাকরিতে পুনর্বহালের রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর মধ্যে মসারা যাওয়া তিনজনের পরিবারকে আইন অনুযায়ী প্রাপ্য সব সুযোগ সুবিধা দিতে বলা হয়েছে।
চাকরিচ্যুতদের পৃথক আপিল ও রিভিউ মঞ্জুর করে মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বিভাগ এই রায় দেন।

এদিন আদালতে আপিল আবেদনকারীর পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন শুনানি করেন। রিভিউ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া।
চাকরিচ্যুতরা রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হলো।
২০০৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে ৩২৭ জনকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে অস্থায়ীভাবে নির্বাচিত করা হয়। ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ৮৫ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এর বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুত প্রার্থীরা মামলা করলে ২০০৯ সালের ২৩ মার্চ তা খারিজ করে রায় দেন প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল। সে রায়ের বিরুদ্ধে তারা আপিল করেন। ২০১০ সালের ১২ এপ্রিল প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল ৮৫ কর্মকর্তার আপিল মঞ্জুর করে চাকরিতে পুনর্বহালের পক্ষে রায় দেন। তবে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক চারটি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত ২০১০ সালের ২৯ এপ্রিল আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেন, বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান।
পরবর্তীতে ২০১১ সালে রাষ্ট্র পক্ষের করা আপিলগুলো মঞ্জুর করে ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর রায় দেন আপিল বিভাগ। রায়ে ৮৫ কর্মকর্তাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করে প্রশাসনিক ট্র্যাইব্যুনালের রায় বাতিল করা হয়। এই রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে ২০২৩ সালে পৃথক পাঁচটি আবেদন করেন চাকরিচ্যুতরা। পরবর্তীতে এসংক্রান্ত আপিলের সঙ্গে অপর চারটি রিভিউ আবেদন শুনানি শেষে আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি রায়ের দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ। সে অনুযায়ী আজ রায় ঘোষণা করা হল।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category