রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০১:০০ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
পুলিশের এসআই হতে পুলিশ পরিদর্শক পদে বিভাগীয় পদোন্নতি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত মুক্তাগাছায় প্রেমিককে বশ করতে কবিরাজের কাছে এসে প্রেমিকা ধর্ষিতা শেরপুর পুলিশ লাইন্সে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ভারতের ঋণে বাংলাদেশে ২ সড়ক, লাভ কি? টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে জাল স্বাক্ষর করে বোনের নামে ফ্ল্যাটের মালিকানা হস্তান্তরের অভিযোগ শেখ হাসিনার চাচাত ভাই শেখ জুয়েল হলেন বিধান মল্লিক শেরপুরে মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী রুপালি গ্রেফতার ওসি প্রত্যাহারের খবর শুনে থানায় পাওনাদারদের ভীড় যৌথ বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত উল্লেখযোগ্য অভিযান সমূহের সারসংক্ষেপ: ০৬-১৩ মার্চ ‘‘ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী আনিকা মেহেরুন্নেসা সাহির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

ডেস্ক রির্পোট
  • প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
  • ৬৫ দেখা হয়েছে :

ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডের এক ছাত্রীনিবাস থেকে আনিকা মেহেরুন্নেসা সাহি (২৪) নামের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) শিক্ষার্থী সুনানকে গ্রেফতার করা হয়। আনিকার বন্ধুরা এটিকে প্রেমঘটিত কারণ হিসেবে দেখলেও, সুনানের পরিবারের দাবী ভিন্ন।সুনানের পরিবার ও তার কয়েকজন সহপাঠী দাবি করেছেন, সম্পর্কের টানাপোড়েন থাকলেও এটি আত্মহত্যার প্রধান কারণ নয়। সুনানের বড় বোন বলেন, আমরা দুই পরিবারই তাদের সম্পর্কের বিষয়ে জানতাম। এমনকি বিয়ের কথাও হয়েছিল। আনিকার আত্মহত্যার ঘটনায় আমার ভাইকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ফাঁসানো হচ্ছে। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের একটি ছাত্রী হোস্টেল থেকে আনিকার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়।
আনিকার একাধিক বন্ধু জানিয়েছেন,প্রেমঘটিত টানাপোড়েনের কারণে হতাশায় ভুগছিলেন। তার এক বন্ধু জানান, মৃত্যুর দুই দিন আগে আনিকা তাকে বলেছিলেন, সুনান আমার জীবনটা শেষ করে দিচ্ছে। আমার আর সুইসাইড করা ছাড়া উপায় নেই। আনিকার আর এক সহপার্টি বলেন, ওই ছেলেটা আনিকাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে এমনভাবে ট্রমার মধ্যে রেখেছিল যে, সে আত্মহত্যার মতো চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। পরশুদিন আনিকার সঙ্গে দেখা হলে সে বলেছিল, ‘আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনো পথ নেই। আমি এমন এক অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছি।’ আমি জিজ্ঞেস করলাম কেন? ও বলল, ‘ও আমাকে ঠিক থাকতে দিচ্ছে না। যেকোনো সময় যেকোনো কিছু হয়ে যেতে পারে আমার; এরকম অবস্থা। ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, সে আনিকাকে ফাঁদে ফেলে স্বার্থ হাছিলের পরিকল্পনা করেছিল। সহপাঠী জানান, আনিকা আগে একবার ভিডিও কলে নিজের হাতে আঘাত করেছিলেন। তার রাজনৈতিক ও পারিবারিক পরিস্থিতির কারণেও তিনি হতাশায় ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category