শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ০৬:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের ইফতার ও দোয়া মাহফিলে রেঞ্জ ডিআইজি ত্রিশালে বিএনপি নেতা মাও. গিয়াস উদ্দিনের ইন্তেকাল, ডা.লিটনের শোক প্রকাশ ত্রিশালে সুলভ মূল্যে গরুর গোস্ত,দুধ,ডিম বিক্রির কার্যক্রম উদ্বোধন বিচারপতি খিজির হায়াতকে অপসারণ করা হয়েছে শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদের ২৫ জন স্ত্রী ত্রিশাল স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন আনন্দ মোহন’র ইফতার ও দোয়া মোক্ষপুর ইউনিয়ন বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল নেত্র‌কোণা জেলা পু‌লি‌শের মাস্টার প্যারেড, মাসিক কল্যাণ সভা ও মাসিক অপরাধ পর্যা‌লোচনা সভা অনু‌ষ্ঠিত বান্ডিল বান্ডিল টাকা দিয়ে জামাইকে নিয়ে আসব পুলিশের এসআই হতে পুলিশ পরিদর্শক পদে বিভাগীয় পদোন্নতি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

ইউপি চেয়ারম্যানের অ্যাকাউন্টে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা,স্ত্রীর ৪৬১ কোটি লেনদেন

ডেস্ক রির্পোট
  • প্রকাশ: শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০২৫
  • ৫৬ দেখা হয়েছে :

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের ব্রাহ্মন্দি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো: লাক মিয়ার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি সন্দেহজনক লেনদেনের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালনকালে তার ৪৯ টি অ্যাকাউন্টে সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। এছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে ৫৫ কোটি ২৩ লাখ ৫২ হাজার ৯৫১ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুদক। মামলার এজাহারে বলা হয়, লাক মিয়ার ৫৮ কোটি ৭০ লাখ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। এর বিপরীতে তার বৈধ আয়ের উৎস মাত্র ৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। তার ব্যাংক লেনদেনে দেখা যায়,৭ হাজার ১৮৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা জমা এবং ৭ হাজার ১৮৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা উত্তোলন করেছেন তিনি।। দুদক সূত্রে জানা যায়,১৯৯০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে এসব অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন তিনি। এছাড়া, তার স্ত্রী মাহমুদা বেগমের বিরুদ্ধে সাড়ে ১৪ কোটি টাকার জ্ঞাত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুদক। লাক মিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান থাকাকালে মাহমুদা বেগমের ১৪টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৪৬১ কোটি ১৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যার মধ্যে ২৩০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা জমা এবং ২৩০ কোটি ৪৮ লাখ টাকা উত্তোলন হয়েছে। ২০০৭ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে এসব লেনদেন করা হয়েছে। লাক মিয়ার কর্মচারী মো. মহসিন মোল্লার ১৪টি ব্যাংক হিসাবে ১০ হাজার ৩২২ কোটি ৭৬ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। মহসিন মোল্লার বেতন ছিল মাত্র ১২ হাজার টাকা। যদিও তিনি দুইটি প্রতিষ্ঠানের (এনআরবি টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড এবং এম/এস এনআরবি ট্রেডার্স) এমডি বা স্বত্বাধিকারী ছিলেন। তার ব্যাংক হিসাবে দেখা যায়,৫ হাজার ১৬১ কোটি ৪২ লাখ টাকা জমা এবং উত্তোলন দেখানো হয়েছে ৫ হাজার ১৬১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category