বরিশাল জেলার উজিরপুর থানা এলাকা থেকে অপহৃত ভিকটিম ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব-১৪, সিপিএসসি, ময়মনসিংহ
১। বরিশাল জেলার উজিরপুর থানা এলাকার বাসিন্দা ভিকটিমের মাতা জানান যে, ২নং বিবাদী মোঃ কামরুল ইসলাম (৪০), পিতা-মৃত শাহাদুল্লাহ্, সাং-কুশমাইল টেকিপাড়া, থানা-ফুলবাড়িয়া, জেলা-ময়মনসিংহ, বর্তমান সাং-পূর্ব মুন্ডপাশা, থানা-উজিরপুর, জেলা-বরিশাল সম্পর্কে তার জামাতা। বিবাদী মোঃ কামরুল ইসলাম (৪০) প্রায় ২ বছর পূর্বে বাদীর বাড়ীর পাশে বসতবাড়ী নির্মাণ করতঃ বসবাস করে আসছিল। ১নং বিবাদী মোঃ নাঈম ইসলাম (২৩) ২নং বিবাদী মোঃ কামরুল ইসলাম এর আপন ছোট ভাই হওয়ায় তার বাড়ীতে যাতায়াত করাকালে প্রায়শ ভিকটিমকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। ঘটনার তারিখ ০৫ মার্চ ২০২৫ খ্রি. তারিখ দুপুর অনুমান ০১.৩০ ঘটিকায় ভিকটিম প্রাইভেট পড়ে বাড়ী ফেরার পথে বরিশাল জেলার উজিরপুর থানাধীন শিকারপুর বাজারের পশ্চিম পার্শ্বে জনৈক রিয়াজুল ইসলাম এর তেলের মিল এর পাশ থেকে ভিকটিমকে ফুসলাইয়া অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের মাতা বাদী হয়ে বরিশাল জেলার উজিরপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০৬, তারিখঃ ০৬/০৩/২০২৫ খ্রি., ধারাঃ ৭/৩০, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/২০২০) ।
২। এ ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে র্যাব-১৪, সিপিএসসি, ময়মনসিংহ কোম্পানি জানতে পারে যে, ভিকটিমকে অপহরণ করে বিবাদী মোঃ নাঈম ইসলাম (২৩) ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানা এলাকায় অবস্থান করতেছে। উক্ত সংবাদ প্রাপ্তির পর র্যাব-১৪, সিপিএসসি, ময়মনসিংহ কোম্পানির একটি আভিযানিক দল ০৮ মার্চ ২০২৫ খ্রি. তারিখ বিকাল অনুমান ১৬:৩০ ঘটিকায় ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিমকে উদ্ধার করে। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে বিবাদীরা সু-কৌশলে পালিয়ে যায়।
৩। উদ্ধারকৃত ভিকটিমকে বরিশাল জেলার উজিরপুর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।