এইচ এম হাছনাইন,ভোলা প্রতিনিধি
আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের বিরুদ্ধে লালমোহন থানায় দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এক সূত্রে গত রোববার ২৫ আগস্ট সকালে লালমোহন পৌর যুবদলের দুই সদস্য এই মামলা দায়ের করেন।
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মামলা দুইটির বাদী লালমোহন পৌর যুবদলের সদস্য মো. মাকসুদুর আলম ও আজাদ রহমান। দুটির মধ্যে একটি মামলার ঘটনা দেখানো হয়েছে ২০১১ সালে অন্যটি ২০২২ সালের জানুয়ারির। ২০১১ সালের ঘটনার মামলাটি হয়েছে চাঁদা দাবির উদ্দেশ্যে মারপিট। এই মামলার বাদী মাকসুদুর আলম এবং ২০২২ সালের ঘটনায় মামলাটি হয়েছে বেআইনিভাবে জনতাবদ্ধে মারপিটের অভিযোগে। এই মামলার বাদী মো. আজাদ রহমান।
মামলা দুইটিতে প্রধান আসামি করা হয়েছে লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনকে। এছাড়াও মামলা দুইটিতে আসামি করা হয়েছে, লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম হাওলাদার, পৌর মেয়র এমদাদুল ইসলাম তুহিন এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান টিটুবসহ আওয়ামী লীগ,যুবলীগ,স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগসহ আরও অনেককে।
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমান, রোববার সকালে লালমোহন পৌর যুবদলের দুই সদস্য এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১১ সালে পৌর যুবদলের সদস্য মাকসুদুর আলমকে আসামিরা চাঁদা দাবির উদ্দেশ্যে মারপিট করে তাকে পঙ্গু করে দিয়েছে এবং ২০২২ সালে আজাদ রহমানকে জনতাবদ্ধে মারপিট করে কুপিয়ে জখম করে পঙ্গু করে দিয়েছে। মামলা দুটি রেকর্ড করা হয়েছে। পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেশ কয়েকটি টিম আসামিদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে শাওনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের মামলায় এজাহার নামীয় আসামি ৮৯ জন এবং অজ্ঞাত ১৫০ থেকে ২০০ জন। এবং ২০২২ সালের মামলায় এজাহার নামীয় আসামি ৫৪ জন এবং অজ্ঞাত রয়েছেন ১০০ থেকে ১৫০ জন।