এইচ এম হাছনাইন,ভোলা প্রতিনিধি
ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা হাট বাজার ও লঞ্চ, ফেরিঘাটের অনিয়মের বিরুদ্ধে সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে বিক্ষোভ করেছে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ৯ দফা দাবী আদায়ের ৭দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে।
২৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকালে ইলিশা জংশন বাজারে এ বিক্ষোভ হয়। ইলিশা ফেরিঘাট থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়ে, মডেল কলেজ পর্যন্ত এসে বিক্ষোভটি শেষ হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা নৌ-পুলিশের চাঁদাবাজি, হাট বাজার ও লঞ্চ, ফেরিঘাটে চাঁদাবাজি বন্ধের নানান স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
বিক্ষোভ শেষে ইলিশা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তারা বলেন, ছাত্র-জনতার রক্তে গত ৫ই আগষ্ট স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের বিদায় হয়েছে। আমরা সেদিন থেকে ইলিশার হাট ও ঘাটের অনিয়ম বন্ধে সংগ্রাম করে আসছি। আমরা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বিআইডব্লিউটিএসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছে দাবীগুলো পূরণ করবে। কিন্তু কিছুদিন চাঁদাবাজি বন্ধ থাকলেও সেই আবারো চলছে, পূর্বের মত। তাই আজ আমরা এই ৯ দফা দাবীতে বিক্ষোভ করছি। তাদের দফা হলোঃ
১.বিআইডব্লিউটিএ এর ধার্যকৃত ঘাট টিকেট প্রকৃত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত নেয়া যাবে না।
২. সাধারণ যাত্রীসহ রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের হয়রানী বন্ধ করতে হবে। যেমন- ব্যাগ, কার্টুন, লাগেজ ইত্যাদি বহন করলে বিনা রশিদে কোন টোল আদায় করা যাবে না।
৩. অবৈধ নৌ-যান যেমন- ষ্টীল বডি, ইঞ্জিন চালিত ট্রলার এবং বর্ষার মৌসুমে স্পীড বোট চলাচল বন্ধ করতে হবে।
৪.লঞ্চ/জাহাজে অতিরিক্ত যাত্রী বহন বন্ধ করতে হবে।
৫.ফেরীঘাটে গাড়ির সিরিয়াল অনিয়ম করে বিনা রশিদে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে।
৬.ঘাট সমূহে মানসম্মত ওয়াশ জোন ও যাত্রী ছাউনির ব্যবস্থা করতে হবে।
৭.ঘাট সমূহের গুরুত্বপূর্ণ স্থান সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত করে প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষন করতে হবে।
৮. অটো, সিএনজি, বাসসহ সকল যানবাহনের সকল রুটের ভাড়া নির্ধারণ করে দিতে হবে।
৯.সকল নৌযানে সঠিক ভাড়া নির্ধারন করে বিল বোর্ড আকারে ঘাট সমূহে টানিয়ে দিতে হবে।
এ দাবী মানা না হলে কঠোর আন্দোলন করা হবে বলেও হুশিয়ারী দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
উক্ত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীরাসহ সর্বস্তরের জনগণ উপস্থিত ছিলেন।