লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে বন্যার পানি কমার সাথে সাথে ডায়রিয়া,জ্বর, সর্দি,কাশির পাশাপাশি বেড়েছে বিভিন্ন ধরনের পানিবাহিত রোগ তাই এসব রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেওয়া জন্য কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তত্বাবধানে চর কাদিরা ইউনিয়নে তিনটি মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা করে উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য কর্মীরা।
আজ রবিবার (০১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২.৩০ মিনিট পর্যন্ত এ ক্যাম্প পরিচালনা করে তারা। মেডিকেল ক্যাম্পগুলো উক্ত ইউনিয়নের আর্দশ গ্রাম, বাদামতলী,ও বালুর মাঠে অনুষ্ঠিত হয় তিনটি ক্যাম্পে মোট ১৮৫০ জন সেবাগ্রহীতাদের সেবা দেওয়া হয়।
সেবানিতে আশা ৮ নং ওয়ার্ডের আমির উল্লাহ মাঝি বাড়ির মারফুজা খাতুন বলেন আজ একমাস বন্যায় পানিবন্দি আমার ডায়বেটিস সবসময় ঔষধ খাওয়া লাগে কিন্তু আজ অনেক দিন ঔষধ শেষ খেতে পারি না এখানে সরকারি ঔষধ দেয় শুনে আসছি ঔষধ ও নিছে এখন মনে অনেক শান্তি লাগে। ৯ নং ওয়ার্ডের জামালের বাপের বাড়ির বিবি কুলছুম বলেন আইজকা কয়দিন অসুস্থ সকালে মাথা ঘুরে পরে গেছি পাঁচ ছয় দিন যাবত অসুস্থ টাকা নাই পানির জন্য ওষুধ আনতে পারি নাই এখন এখান থেকে ঔষধ নিছি খাই দেখি যদি একটু সুস্হ্য হই।
কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য কর্মী জহিরুল ইসলাম বলেন আমরা বন্যা পরিস্থিতি মধ্যেও বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে ও ঘরে ঘরে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিয়েছি,এখন বন্যার পানি কমার সাথে সাথে ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দি,কাশি ও চর্মরোগ সহ বিভিন্ন ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় আমার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নির্দেশে এ বন্যা কবলিত পুরো কাদিরা ইউনিয়ন মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা করে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার পাশাপাশি বিভিন্ন রকম স্বাস্থ্য সচেতনতা মূলক পরামর্শ ও জটিল রোগীদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে সেবা নেওয়ার পরামর্শ দেই।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার আবু তাহের বলেন
আমরা যখন শুনতে পেরেছি যে বন্যার পানি কমার সাথে সথে বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ সহ নানা ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে তাই আমরা আজ উপজেলা কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য কর্মীদের মাধ্যমে কাদিরা ইউনিয়নে তিনটি মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা করে বন্যার্তদের প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি,যদি প্রয়োজন হয় আমরা মেডিকেল অফিসার দিয়ে ক্যাম্প পরিচালনা করে বানভাসীদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করবো।