আদিতমারী (লালমনিরহাট) প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী সরকারী কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ এনে দৈনিক দাবানল, দৈনিক খোলা কাগজ, দৈনিক মুক্তি, সহ বিভিন্ন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয় সচেতন মহল সহ প্রতিষ্ঠানের ছাত্র/ছাত্রী অভিবাবকগণ, সামাজিক ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে অস্তিত্ব বিহীন ছাত্র/ ছাত্রীদের নাম ব্যবহার করে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেন, পরবর্তীতে অভিযোগ করা ছত্র/ছাত্রীদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও তথ্য প্রযুক্তি) নুরে তাসনিম কে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক, পরবর্তীতে খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারে অভিযোগ কারী ছাত্র/ ছাত্রীদের প্রতিষ্ঠানে কোন অস্তিত্ব নেই। অভিযোগ কারী প্রতিষ্ঠানের সাথে কোন সংশ্লিষ্টতানেই।অভিযোগকারীদের সনাক্ত করতে না পারায় কলেজের ছাত্র/ছাত্রীরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে বিষয়টি উপস্থাপন করেন।জেলা প্রশাসক মহোদয় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিষয়টি একটি ষড়যন্ত্র আভাস পেয়ে তদন্তের কার্যক্রম স্থগিত করে দেয়।
একই কায়দা আরো একটি মিথ্যা অভিযোগ আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরের দাখিল করলে আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার একই অভিযোগ তদন্ত করতে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। অভিযোগ কারী অস্তিত্ব না থাকায় তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত করে দেয়। এইভাবে একের পর এক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র হয়রানি মুলক সংবাদ ও অভিযোগ দায়ের করায় ক্ষিপ্ত স্থানীয় সচেতন মহল । পরবর্তীতে আরও একটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দায়ের করলে শিক্ষক-কর্মচারীদের দিয়ে। সেই অভিযোগ কলেজের প্রভাষক ছাত্র/ছাত্রী ও স্থানীয় সচেতন মহল যৌথভাবে প্রতিরোধ করেন। সরেজমিনে জানা গেছে, আদিতমারী সরকারী কলেজটি ৮ আগষ্ট ২০১৮ ইং তারিখে সরকারিকরণ করা হয়েছে। সরকারিকরণের পর পরেই অধ্যক্ষ স্যার অধ্যাপক সহকারী অধ্যাপক ও কর্মচারী সহায়তায় সুনামের সাথে কলেজটি পরিচালনা করে আসছে। ১/২ জন সুবিধাভোগী প্রভাষক যোগ সূত্রে অধ্যক্ষ মহোদয়কে সামাজিক ভাবে হেও প্রতিপন্ন করতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে আসছে । কলেজের অধ্যক্ষ ও বিভিন্ন সেক্টরে অধ্যাপক সহকারী অধ্যাপক অভিভাবকগণ সহ ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বললে জানা যায় একটি মহল অধ্যক্ষ স্যারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে। ৫ ই আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে বিভিন্নভাবে হয়রানি মূলক কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করতে বিভিন্ন পোর্টালে ইন্ধন দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে আসছে। একটি নিউজে বলা হয়েছে প্রতিষ্ঠানে একটি টসর্চার সেল রয়েছে সরজমিনে তদন্ত করে দেখা যায় বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা ভিত্তিহীন একটি কাল্পনিক তথ্য। প্রতিষ্ঠানটি সর্বদায় সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়ে থাকেন। সুনাম ধন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানটি বিরুদ্ধে মিথ্যা ভিত্তিন সংবাদ পরিবেশন না করার জন্য সকল সংবাদ কর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রভাষক সহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দেওয়া হয়ে থাকে।কোন প্রকার ক্ষমতা অপব্যবহার ও কর্মচারী বেতন কর্তন অথবা আটক রাখার মত কোন ঘটনা ঘটেনি।সকলের সম্মিলিত ভাবে কলেজটি পরিচালনা করা হয়ে থাকে। কলেজের অধ্যক্ষ আজিজার রহমান বলেন কোন প্রভাষকে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেওয়া হয়নি। আমার বিরুদ্ধে (অধ্যক্ষ ) মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। কলেজে অধ্যক্ষ,অধ্যাপক,সহকারী অধ্যাপক,প্রভাষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতি উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।সংবাদটি একান্ত মনগড়া সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা ভিত্তিহীন সামাজিকভাবে হেও প্রতিপন্ন করতে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানে কোন প্রকার গাছ কর্তন করা হয়নি কলেজে সরকারি ভবন নির্মাণের নির্ধারিত স্থানে ঠিকাদার কাজ করার সময় দুই একটি গাছ সরিয়ে ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। সেগুলো দিয়ে বেঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে , শুরু থেকে কলেজটি নির্মাণ করে দীর্ঘদিন স্বেচ্ছায় শ্রম দিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্র/ ছাত্রী এনে কলেজে ভর্তি করা হয়েছে ।দীর্ঘ এক যুগ পরে কলেজটি এমপিওভুক্ত হয়েছে ।পরবর্তীতে সরকারি করণ করতে সক্ষম হয়েছেন অধ্যক্ষ আজিজার রহমান । খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় অধ্যক্ষ আজিজার রহমান পূর্ব পুরুষ এলাকার বিত্তবান ও ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান নিজের অর্থায়নে শহীদ শামসুল ইসলাম সুরুজের সহযোগিতা প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম শুরু করেন। পরবর্তীতে লালমনিরহাট জেলার মধ্যে একটি শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠা হিসাবে রূপান্তর করতে সক্ষম হয় এবং ফলাফলের দিক থেকে এগিয়ে যাওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তির হিড়িক পড়েছে আদিতমারী ডিগ্রী কলেজ এই প্রতিষ্ঠানের ছাত্র/ছাত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কর্মরত রয়েছেন।বিভিন্ন ভাবে সরকারি সহায়তা নিয়ে সর্বশেষ আদিতমারী ডিগ্রী কলেজটি আদিতমারী সরকারি কলেজ নামে রূপান্তর করতে সক্ষম হয়েছে অধ্যক্ষ আজিজার রহমান। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শামসুল ইসলাম সুরুজ। নিউজে বলা হয়েছে রংপুরের জায়গা নিয়ে বাড়ি নির্মাণ করছেন অধ্যক্ষ আজিজার রহমান নিজ বাড়ি জমি জমা এবং নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অর্থ দিয়ে রংপুরে বসবাস করার মত ৬ জন মিলে একটি ছোট ফ্লাট নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে বলে জানা যায় । শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়মনীতি মেনে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করা হচ্ছে। অনুসন্ধানে জানাযায় প্রতিষ্ঠানটি অধ্যক্ষ আজিজার রহমান নিয়মিত কলেজে উপস্থিত থাকেন প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। অধ্যক্ষ আজিজার রহমান মহোদয়ের সাথে কথা হলে তিনি বলেন গ্রুপিং না করে নোংরা মন-মানসিকতা থেকে বের হয়ে কলেজটি পরিচালনা সহায়তা করার জন্য সকলের প্রতি আহবান রাখেন।