ত্রিশালের ধানিখোলা উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের উপর যুবলীগ নেতা সৌরভের হামলা,থানায় মামলা,কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এজাহারে বাদি লিখেন,আমি মাকরুল ইসলাম (৪০) (এনআইডি নং- ৬১১৩১৯৪৬০৯০৩১) পিতা মৃত আলতাফ হোসেন মাতা- হালিমা খাতুন সাং মরিচারচর হাউপি: উচাখিলা থানা ঈশ্বরগঞ্জ জেলা- ময়মনসিংহ সভীয় আমার ছেলের সহপাঠি সাহারিয়ার সাজিদ:১৭) পিতা মোঃ শামীম মিয়া সাং- বৈলর হিন্দু পল্লি থানা- ত্রিশাল, জেলা- ময়মনসিংহ সহ থানায় হাজির হইয়া বিবাদী- ১। মোঃ বাইদুল হাসান সৌরভ (২৮), পিতা- আলফাজ খান, গ্রাম ধানীখোলা যান বাড়ী, ডাকঘর ধানীখোলা উপজেলা ত্রিশাল, জেলা ময়মনসিংহগণ সহ আরোও অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ করিতেছি যে, আমার ছেলে জুনাঈদ ইসলাম(১৭) তাহার নানার বাড়ি বৈলর হিন্দুপল্লি গ্রামে থাকিয়া ধানীখোলা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেনীতে পড়াশোনা করে। সে ২০২৫ সালের এস এস সি পরিক্ষার্থী। ঘটনার সময় ও তারিখ ইং ০৮/১০/২০২৪ইং তারিখ, সময় আনুমানিক বিকাল ৩ ঘটিকার সময় আমার ছেলে সহ তাহার বন্ধু, ১। রূপক মিয়া, পিতা আনিছুজ্জামান, ২। সজিব মিয়া, পিতা মোঃ আব্দুল মোতালেব, ৩। মোঃ রিফাত মিয়া, পিতা: শহিদুল্লাহ, ৪। মোঃ রাজন আহমেদ, পিতা মোঃ শফিকুল ইসলাম, ৫। মোঃ তুহিন আহমেদ তুষার, পিতা মোহাম্মদ আলী, সর্ব সাং ধানীখোলা, উপজেলা ত্রিশাল, জেলা • ময়মনসিংহ সহ অনেকেই ধানীখোলা উচ্চ বিদ্যালয়ে একত্রিত হয়ে, তাহাদের বিদায় অনুষ্ঠান হিসেবে উক্ত প্রতিষ্ঠানে তাহাদের শেষ ক্লাসে এসএসসি সকল পরীক্ষার্থীদের উদ্যোগে কেক কাটা ও বিরানী খাওয়ার আযোজন করে। উক্ত অনুষ্ঠানটি চলাকালীন স্কুল ছুটি হয়ে যাওয়ায় পরবর্তীতে তাহাদের আয়োজনটা স্কুলের পার্শ্ববর্তী বিবাদীর বাবার পরিত্যাক্ত রাইস মিলের সামনে ফাঁকা জায়গায় বিবাদীর বাবার অনুমতিক্রমেই সেখানে তাহারা বিরানী খাওয়া শুরু করে। তাৎক্ষনিক উল্লেখিত বিবাদী সৌরভ সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন বে-আইনী জনতাবদ্ধে ঘটনাস্থলে আসিয়া বিবাদী সৌরভ এর হাতে থাকা লাঠি দিয়া আমার ছেলেকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তাহার মাথায় বারি মারিলে সে সরিয়া গেলে উক্ত বারিটি আমার ছেলে জুনাঈদ ইসলামের পিঠে গিয়ে লাগিয়া গুরুতর জখম হয়। পরে তাহার বন্ধুরা আগাইয়া আসিলে বিবাদী সৌরভ সহ তাহার সাথে আসা অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন তাহাদেরও এলোপাথারি মারপিট করিয়া জখম করে। জুনাঈদ এর কাপড় চোপড় টানিয়া ছিরিয়া ফেলে। পরবর্তীতে তাহাদের ডাক চিৎকারে আশ পাশে থাকা লোকজন আগাইয়া আসিযা বিবাদীগণের কবল হইতে উদ্ধার করে। বিবাদীরা পালাইয়া যাওয়ার সময় /খুন জখমের হুমকি দিয়ে চলিয়া যায়। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। পরবর্তীতে আমার ছেলের অবস্থা খারাপ হইলে ইং ১১/১০/২০২৪ তারিখ সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করি। আমার ছেলের চিকিৎসা সহ স্থানীয় আপোষ মিমাংসায় ব্যর্থ হইয়া থানায় আসিয়া অভিযোগ দায়ের করিতে বিলম্ব হয়।
ছাত্র-ছাত্রীদের সূত্রে জানা যায়,তাদের উপর যখন হামলা হয়েছিল তখন ছাত্রীদের কেও রেহাই দেয়া হয়নি।
সূত্র জানায়,৯ অক্টোবর বুধবার ধানীখোলো উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের উপর হামলার ঘটনা কে কেন্দ্র করে আপোষ মীমাংসার আলোচনা চলাকালীন সময়ে সৌরভের স্ত্রী ও তার পক্ষের লোকজন ছাত্র-ছাত্রীদের কে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের কারণে পরিবেশ আরো উত্তপ্ত হয়ে যায়।
ত্রিশাল থানার এসআই সুমন বলেন,মামলা হয়েছে, দ্রুত আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হবে।