এইচ এম হাছনাইন, ভোলা প্রতিনিধি
ভোলা ৩ আসনের আওয়ামী সরকারের সাবেক সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন। সে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যও ছিলেন। তার নামে নানা দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। লালমোহন-তজুমদ্দিনের বাক স্বাধীনতাও হরণ করেছিলেন এই দুর্নীতিবাজ নেতা। কয়েক হাজার কোটি টাকা দূর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় তার অনুমতি ও টাকা ছাড়া নিয়োগ দেওয়া যায়নি । এমনকি সে মসজিদের দান বাক্সের টাকাও হাতিয়ে নিয়েছে। নিজ আত্নীয় স্বজন ও অদক্ষ জনবল নিয়োগ দিয়ে প্রতিষ্টানগুলোকে ফেলেছে কোনঠাসায়।
তার নিজ পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত হাজী মোঃ নুরুল ইসলাম চৌধুরী মহাবিদ্যালয়ে শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ হাতিয়ে নেন একজনের কাছ থেকে প্রায় দুই কোটি টাকা।
ভুক্তভোগীরা জানান, ২০২২ সালে কলেজটি এমপিও ভুক্ত হওয়ার পর পূর্বে থেকে যারা কলেজে বিনা বেতনে শ্রম দিয়ে এসেছিল তাদেরকে বিভিন্ন মিথ্যা ট্যাগ দিয়ে তাদের জায়গায় অধিক টাকার বিনিময়ে জনবল নিয়োগ দেন শাওন। প্রতি শিক্ষক থেকে ১০ লাখ এবং কর্মচারী থেকে ৫,৬,৭, ১০ লাখ টাকা নেন তিনি। ১৪ জন শিক্ষক ও ১১জন কর্মচারী টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেন এই নেতা। তারমধ্যে ৫জন শিক্ষক ও ৩জন কর্মচারী ২০২২ সালে এসেই ২০১৫ সালের নিয়োগ পেয়ে যান। এই অবৈধ নিয়োগ ব্যবস্থা বাতিল সহ দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান ভুক্তভোগীরা।