নির্বাচনের তারিখ বলা যাবে না, বুঝেশুনে সিদ্ধান্ত: নতুন সিইসি
পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঠিক কবে হতে পারে, তা নিয়ে নির্দিষ্ট তারিখ বলতে চান না নবগঠিত নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। বুঝেশুনে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আজ রোববার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে শপথ গ্রহণ করেন নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চার নির্বাচন কমিশনার। তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
শপথ গ্রহণের পর সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া দেন সিইসি। তিনি বলেন, সবার সহযোগিতা নিয়ে অবাধ–সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। দেশের মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত, ভোটের জন্য মানুষ অনেক সংগ্রাম করেছে।
সিইসি বলেন, আমাদের নিয়ত সহি। দিনক্ষণ দিয়ে নির্বাচনের তারিখ বলা যাবে না। দায়িত্ব সব কিছু বুঝে শুনে সিদ্ধান্ত। জীবনে বহু চ্যালেঞ্জ দেখেছি, এটাও উতরাতে পারবো।
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের নির্বাচনে সুযোগ দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনে আসা নিয়ে চলমান বিতর্ক শেষ হোক তারপর সবার মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত।
সিইসি আরও বলেন, শপথের সম্মান রাখতে চাই। ‘ফ্রি ফেয়ার ক্রেডিবল’ নির্বাচন দেব।
এর আগে ২১ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির নির্দেশে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন হয়। অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমান মাসুদ, অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম-সচিব বেগম তহমিদা আহমদ ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহকে নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে ৫ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করেন কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। এর পর সার্চ কমিটির প্রস্তাবিত তালিকা থেকে একজনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চারজনকে কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।