পাগলা মসজিদের দানবাক্সে রেকর্ড ৮,২১,৩৪,৩০৪ টাকা
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে রেকর্ড ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া দানবাক্সে মিলেছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনার অলঙ্কার।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক মিজাবে রহমত কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে সকাল ৭টায় পাগলা মসজিদের ১১টি দানবাক্স খোলা হয়। যেখানে পাওয়া যায় ২৯ বস্তা টাকা। বস্তাভর্তি এসব টাকা সকাল ৮টায় মসজিদের দ্বিতীয় তলার মেঝেতে ঢেলে শুরু হয় গণনা কার্যক্রম। এ ছাড়াও বিপুল পরিমাণ সোনা, রুপা, বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া যায়।
টাকা গণনার কাজে জেলা প্রশাসনের ১২ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ১০ সেনা সদস্য, ১৭ পুলিশ সদস্য, ৯ আনসার সদস্য, ২৮২ মাদ্রাসা শিক্ষার্থী, ৩৬ শিক্ষক ও স্টাফ, রূপালী ব্যাংকের ৭৫ কর্মকর্তা ও কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন।
দানবাক্স খোলার সময় উপস্থিতি ছিলেন- কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের সেনাবাহিনী সার্জেন্ট বিপ্লব, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক মিজাবে রহমত, রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা আনোয়ার পারভেজ।
এর আগে গত ১৭ আগস্ট পাগলা মসজিদের ১০টি দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন তিন মাস ২৬ দিনে ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা পাওয়া যায়। এ ছাড়া দানবাক্সে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনার অলংকার পাওয়া গেছে।
মসজিদের দান থেকে পাওয়া এসব অর্থ সংশ্লিষ্ট মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়। অন্যদিকে সেখানে আন্তর্জাতিক মানের ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিগগির এটির কাজ শুরু হবে। এটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। এতে ৩০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।