গণঅভ্যুত্থানে গুলিতে চোখ হারানো সাইদুলকে তালাক দিলেন স্ত্রী
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলির স্প্লিন্টারে চোখ হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন পটুয়াখালীর দশমিনার যুবক মো. সাইদুল ইসলাম। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, দুদিন আগে দৃষ্টিহীন সাইদুলকে তালাক দিয়ে চলে গেছেন স্ত্রী।
সাইদুল উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মোহাম্মদ মৃধার ছেলে। চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। শরীরে অসংখ্য স্প্লিন্টার ও চোখ হারিয়ে চিকিৎসাবিহীন দিন কাটছে বেকার যুবক সাইদুলের।
সাইদুল জানান, তিনি অনেক কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। এই খারাপ মুহূর্তে দুদিন আগে স্ত্রী পান্না আক্তার তালাক দিয়ে দেড় বছরের একমাত্র মেয়ে সুমাইয়াকে নিয়ে চলে গেছেন। বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করার পরও এখন পর্যন্ত তিনি কোনো আর্থিক সহায়তা পাননি। অভাবের সংসারে বেশিদূর পড়াশোনা না করতে পারা সাইদুল ঢাকায় ব্যাটারিচালত অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
সরকারি সহায়তার দাবি করে তিনি জানান, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতন আন্দোলনে শামিল হন তিনি। ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে অবস্থানের সময় চোখে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে প্রায় অর্ধশতাধিক স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। ওই সময় আন্দোলনে উপস্থিত শিক্ষার্থী ও জনতা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। ঢাকা মেডিকেলে এক সপ্তাহ ভর্তি থাকার সময় তার চোখে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গা থেকে স্প্লিন্টার বের করা হয়।
সাইদুল আরও জানান, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালেও ভর্তি হয়ে এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে তার চোখে অপারেশন করা হয়। স্প্লিন্টারের আঘাতে তার বাঁ চোখ সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে।