রাজবাড়ীতে বিএনপি’র কমিটি বাতিলের দাবিতে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা সাবেক এমপি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়মের নেতৃত্বে ১৫আগস্ট রোববার দুপুরে রাজবাড়ী শহরে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলে রাজবাড়ী জেলা বিএনপি ও এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্ত্বব্য বৃহত্তর ফরিদপুরের দায়িত্বে থাকা সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান।
তিনি উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমি জানি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম এ অঞ্চলের গণমানুষের নেতা। আপনারা তাকে তিন তিনবার পৌর পিতা এবং একবার আপনাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে বিএনপি’র প্রতিনিধি বানিয়ে জাতীয় সংসদে পাঠিয়েছিলেন। আমরা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ তাকে অনেক সম্মান জানিয়েছি, কিন্তু খৈয়ম ভাই আপনাদের কথা ভেবে তার নিজের
স্বার্থ হাসিলের জন্য বর্তমান আহবায়ক কমিটির কাছে ধর্না দিয়ে নেতা হতে চান নাই।
আমি আপনাদের দুঃখ বুঝি, আমি হলেও তাই করতাম। আমাদের নেতা ড. আসাদুজ্জামান রিপন সহ অন্যান্য যারা ঢাকা থেকে এসেছেন তারা সকলেই অত্যন্ত ভদ্র এবং ভালো মনের মানুষ। আমরা অবশ্যই আপনাদের কথা আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করবো, যাতে আপনাদের আশা আকাঙ্ক্সার প্রতিফলন যাতে ঘটে আমরা সেই ব্যবস্থাই গ্রহণ করবো।
দীর্ঘদিন আন্দোলন সংগ্রামে অংশ গ্রহণকারী, হামলা-মামলার শিকার হাজার হাজার নেতাকর্মীকে বাদ দিয়ে বিতর্কিত নেতাকর্মীদের নিয়ে জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক এড. লিয়াকত আলী বাবু ও সদস্য সচিব এড. কামরুল আলম তাদের ইচ্ছানুযায়ী পছন্দের পকেট কমিটি বানানোর প্রতিবাদে ফুঁসে উঠে বিএনপি’র হাজারো নেতাকর্মী। প্রতিবাদী নেতাকর্মীদের দাবি অনতিবিলম্বে এ অবৈধ পকেট কমিটি বাতিল করে সাংগঠনিক নিয়মানুযায়ী নতুন কমিটি গঠন করা হোক। অবৈধ কমিটি বাতিলের দাবিতে হাজারো নেতাকর্মীদের স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে রাজবাড়ী শহর। বিক্ষোভ মিছিলটি রাজবাড়ী শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ও মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি চত্বর হয়ে বড়পুল বকুল তলায় এসে শেষ হয়।
কেন্দ্রীয় নেতা খন্দকার মাশুকুর রহমানের এ ধরনের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে ও সাবেক এমপি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম উপস্থিত নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানালে তারা শান্তভাবে এলাকয় ফিরে যান।
উল্লেখ্য,ওই দিন রাজবাড়ীর আজাদী ময়দানে বিতর্কিত ও আড়াই বছর আগে মেয়াদোত্তীর্ন আহবায়ক কমিটির সম্মেলন প্রস্তুতির সভা আহবান করা হয়েছিল।