ময়মনসিংহের ত্রিশালে হাসান হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্বজন ও এলাকাবাসী।
বুধবার (১ জানুয়ারী) সকাল ১১ টায় সাইনবোর্ড বাসট্যান্ডের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন হয়। মানববন্ধন শেষে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে এলাকাবাসী। এসময় উপস্থিত ছিলেন নিহতের পরিবারবর্গ,বন্ধু,স্বজন,ব্যবসায়ী,রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় জনগণ।
মানববন্ধনের ব্যানারে হত্যায় জড়িত নয়ন, জিন্নাত,জুবায়িল ও জহিরুলের ছবি দেয়া হয়। এসময় দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসি দিয়ে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেন বক্তারা।
মামলা সূত্রে জানা যায়,গত ২৪/১২/২০২৪ তারিখ বিকাল অনুমান ৪ ঘটিকার সময় বিবাদী একটি মোটর সাইকেল যোগে ত্রিশাল থানাধীন গুজিয়াম কাঁঠালীবন্ধ সাকিনস্থ বাদীর(নিহত হাসানের মা হাসনারা)বাড়ীতে আসে এবং সাইনবোর্ড বাজার হতে মিষ্টি ক্রয় করে আনার কথা বলিয়া আমার ছেলেকে বাড়ি হইতে সঙ্গে নিয়া যায়। একই তারিখ অনুমান রাত ৭ ঘটিকার সময় ত্রিশাল থানাধীন আমিরাবাড়ী সাইনবোর্ড সাকিনের নিগার জামান ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন জনৈক আমির এর দোকানের সামনে আমার ছেলেকে(বাদীর) মোটরসাইকেল হইতে নামাই দিয়া সামনের দিকে চলিয়া যাওয়ার কিছুক্ষন পরেই ১নং বিবাদী সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন লোক আসিয়া আমার ছেলেকে পথরোধ করিয়া ১নং বিবাদী হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দ্বারা মাথায় কোপ মারিয়া গুরুত্বর কাটা রক্তাক্ত জখম করে এবং অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা লোহার রড দিয়া বাইরাইয়া তাহার দুই পায়ের গুরুতর হাড় ভাঙ্গা জখম করিলে আমার ছেলের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আগাইয়া আসিতে থাকিলে আমার ছেলেকে গুরুতর আহত অবস্থায় রাখিয়া আসামিরা চলিয়া যায়। স্থানীয় লোকদের সহায়তায় আমার ছেলেকে দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়া গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। রেফার্ড মূলে আমার ছেলেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। তাহার অবস্থার অবনতি হওয়ায় প্রাইভেট হাসপাতাল সুপার মেক্স হেল্থ কেয়ার লিঃ, ধানমন্ডি/২৭,জেনেটিক প্লাজা আইসিইউ তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৯ ডিসেম্বর/২৪ তারিখ মারা যায়।