আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন-২) অভিযানে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থেকে অপহরনকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে উদ্ধার ও আপহরণকারী গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতারকৃতের নাম মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (৩৮)। সে মুক্তাগাছার মন্ডলসেন এলাকার মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে।
মুক্তাগাছা থানা একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় অভিযোগের ভিত্তিতে ২ এপিবিএন এর অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আলী আহমদ খানের নির্দেশনায় ২ এপিবিএন এর সাইবার ক্রাইম সেল এপিবিএন হেডকোয়ার্টার্সের এলআইসি/সিআইএ সেলের সহায়তায় মুক্তাগাছা পৌরসভার ঢলুয়াবিল তেলের পাম্পের সামনে হতে সোমবার তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আর্মড পুলিশ সুত্র জানায়, অপহৃত ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজের ছাত্রী (১৯)। অপরহরনকারী সম্পর্কে তার বোন দুলাভাই। সেই আত্বীয়তার সুবাধে অপরহনকারী নিয়মিত ভিকটিমের বাড়ীতে আসা যাওয়া করতো এবং বিভিন্ন ভাবে উত্যক্ত করতো এবং কু-প্রস্তাব দিতো। কিন্তু ভিকটিম কূ-প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় গোপনে ভিকটিমের ব্যাক্তিগত মোবাইল থেকে কৌশলে জিমেইল আইডি ও ফেইসবুক আইডির পাসওয়ার্ড নিয়ে নেয় এবং ভিকটিমের মোবাইলে থাকা তার আপত্তিকর কিছু ছবি নিয়ে নেয়। পরবর্তীতে বিবাদী উক্ত ছবি ভিকটিমকে দেখিয়ে বিভিন্ন সময় ব্ল্যাক মেইল করতে থাকে এবং তার সাথে শারিরীক সম্পর্ক করার জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চাপ দিতে থাকে।
এরুপ হুমকিতে ভিকটিম বাদী হয়ে গত বছরের ৪ মে পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন মুক্তাগাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
উক্ত মামলা দায়ের করার পর হতে বিবাদ রাগে ক্ষোভে ভিকটিম এবং তার পরিবারের লোকদের মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিতে থাকে। বিবাদীর হুমকিতেও ভিকটিম উক্ত মামলা না তুললে বিবাদী রাগে ক্ষোভে গত ইং-০৯ জানুয়ারী সকাল অনুমান ৮ ঘটিকার সময় ভিকটিমকে নিজবাড়ী হতে ময়মনসিংহ আনন্দ মোহন কলেজে যাওয়ার পথে মুক্তাগাছার মুন সিনেমা হলের সামনে থেকে তার অজ্ঞাতানামা কয়েকজনের সহযোগিদের সহায়তায় ভিকটিমকে অপহরন করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় ভিকটিম ছাত্রীর মা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে মুক্তাগাছা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।