জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ময়মনসিংহ জেলা সমিতির নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।কমিটিতে সভাপতি ফাহিম, সম্পাদক রাসেল নির্বাচিত হয়েছেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির নতুন আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাহিম আহম্মেদ মন্ডল এবং সাধারণ সম্পাদক দর্শন বিভাগের ৪৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও দর্শন বিভাগ ছাত্রসংসদের ভিপি রাসেল আকন্দ।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) জেলা সমিতির উপদেষ্টাদের অনুমোদনক্রমে পরবর্তী এক বছরের জন্য নতুন কমিটি গঠন করা হয়। এর আগে, গত ১৬ জানুয়ারি সাবেক শীর্ষ নেতৃত্বের সমন্বয়ে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি সার্চ কমিটি গঠিত হয়, যা নতুন কমিটি গঠনের সুপারিশ করে। সার্চ কমিটির সদস্যদের মধ্যে ছিলেন ৪২ ব্যাচের ইউসুফ জামিল, ৪৩ ব্যাচের রিফাত আকন্দ অন্তর, ৪৫ ব্যাচের রাজু আহমেদ ও এনামুল হাসান এবং ৪৬ ব্যাচের আদনান আসিফ হায়দার।
উপদেষ্টা পরিষদের পর্যালোচনার পর সার্চ কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী নতুন কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। নবগঠিত কার্যনির্বাহী কমিটিকে আগামী এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
১৩ সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কমিটির অন্যান্য দায়িত্বপ্রাপ্তরা হলেন:
সহ-সভাপতি: প্রণব সরকার হরি (৪৮ ব্যাচ), সাদিয়া নওরীন সুস্মি (৪৭ ব্যাচ), সাদিয়া আরিফীন তিশা (৪৮ ব্যাচ)
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক: সানজিদা লুবনা (৪৮ ব্যাচ), শফিকুল ইসলাম সানি (৪৮ ব্যাচ), সানজিদা মীম (৪৮ ব্যাচ),তাসনিমা তাহসিন (৪৮ ব্যাচ)
কোষাধ্যক্ষ: মারজান মুগ্ধ (৪৮ ব্যাচ)
সাংগঠনিক সম্পাদক: সানিয়ান আহমেদ (৪৯ ব্যাচ)
দপ্তর সম্পাদক: জিদান আহমেদ (৪৯ ব্যাচ)
প্রচার সম্পাদক: আসিফ ইকবাল (৪৯ ব্যাচ)
নতুন কমিটি ঘোষণার বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ আমিনুল ইসলাম (রানা) বলেন, “আমরা আশা করি নতুন কমিটিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা করবে এবং ময়মনসিংহ হতে পড়তে আসা সকল জাবিয়ানের কল্যাণে কাজ করবে।”
সার্চ কমিটির অন্যতম সদস্য ও সংগঠনের উপদেষ্টা রিফাত আকন্দ অন্তর বলেন, “রক্তক্ষয়ী জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের সংগঠনকেও উপযুক্ত নেতৃত্বের আদলে ঢেলে সাজানোর গুরুদায়িত্ব আমরা পালন করেছি। নতুন কমিটি কার্যকর ও সক্রিয় রাখতে সবসময় পাশে থাকবো।”
সভাপতি ফাহিম আহম্মেদ মন্ডল তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “সমিতিকে একটি কার্যকর ও বিতর্কমুক্ত প্ল্যাটফর্ম হিসেবে উপস্থাপনা করাই হবে মেয়াদকালীন সময়ের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চাই।”
সাধারণ সম্পাদক রাসেল আকন্দ জানান, “সমিতির সকল সদস্য নিজ পরিবার তূল্য। তাদের মৌলিক সমস্যাগুলো সমাধানে নতুন কমিটি কাজ করবে।”