মোঃ গোলাপ মিয়া ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
তিস্তা নদী মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে। কর্মসূচি সফল করতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি ও তিস্তা নদীর রক্ষা আন্দোলনের প্রদান সমন্বয়ক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু তুমি বলেন
উত্তরবঙ্গের একমাত্র তিস্তা নদী পানির ন্যায্য হিসাব এবং মেগা প্রকল্প হোক আর মহাপরিকল্পনা হোক যে কোনো একটি প্রকল্পের মাধ্যমে তিস্তা নদীর উন্নয়নের কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি । দল মত নির্বিশেষে সর্বস্তরের জনগণদের নিয়ে তিস্তা মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার উপলক্ষে মহাসমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে ।বর্তমান সরকারের কাছে দাবি উত্থাপন করা হবে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে তিস্তা মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার জন্য সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতায় দাবিগুলো উত্থাপন করা হবে। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা উপলক্ষ্যে জাগো বাহে তিস্তা বাছাই এই স্লোগান রেখে ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৮ ই ফেব্রুয়ারি জনসভার ডাক দিয়েছেন বিএনপির জেলা সভাপতি ও রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু । ইতিমধ্যেই লালমনিরহাট জেলা সহ পাঁচটি জেলায় জনসমাবেশে ও সর্বস্তরের জনগণের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে গণ সংযোগ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন বিএনপি সহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সেই সাথে আহ্বান জানিয়েছেন তিস্তা পাড়ের সর্বস্তরের জনগণের । সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেন এক সময় তিস্তা পারের মানুষের প্রাণের দাবি তিস্তা বাঁচাও তাহলে আমরা বাঁচবো, তিস্তার পানির ন্যায্য হিসাব না থাকা বর্তমান তিস্তার পরিস্থিতি ধুধু বালুচরে পরিণত হয়েছে । তিস্তা পাড়ের মানুষের এক সময়ে পুকুর ভরা ছিল মাছ, গোয়াল ভরা ছিল গরু, মাচা ভরা ছিল ধান, প্রতিটা ঘরে ঘরে ছিল আনন্দ উৎসব আজ সব কিছুই হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। তিস্তা এখন মানুষের কান্নার তিস্তা পরিণত হয়েছে। আসুন আমরা সবাই মিলে তিস্তা কে বাঁচায় তিস্তা খনন করে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করি ।এতে হাজার হাজার লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। সেই সাথে আর যেন কারো বাড়ি ঘর নদীতে বিলীন হতে না হয় এখনই সময় হয়েছে দাবি উত্থাপনের জন্য আমাদের সকলেই এক হয়ে দাবি আদায় করে নিতে হবে , মহাসমাবেশে অংশ নিবেন রংপুর বিভাগের মধ্যে পাঁচটি জেলা লালমনিরহাট ,কুড়িগ্রাম ,রংপুর, গাইবান্ধা, নীলফামারী,এই সকল জেলার সর্বস্তরের জনগণ ১৭/ ১৮ ফেব্রুয়ারি তিস্তা নদীর চরে সকলকে উপস্থিত হওয়ার জন্য আহ্বান করা হয়েছে।