শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৬:২৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
যেভাবে সাভারের ফাস্ট লেডি হয়েছিলেন ডাক্তার ফরিদা ত্রিশালে গার্মেন্টস কারখানায় একের পর এক অসুস্থ হচ্ছে শ্রমিক  আদিতমারীতে ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠিত ত্রিশালে শান্তি ও সম্প্রতি প্রতিষ্ঠায় নাগরিক সমাজের ভূমিক শীর্ষক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত রামপুর ইউনিয়ন বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ত্রিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপারের উদ্যোগে রমজানে  পুলিশ সদস্যদের মাঝে  সেহেরী  এবং খেজুর বিতরণ যুক্তরাজ্যে বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ভোলা সরকারি কলেজ ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে ধর্ষকদের ফাঁসি ও সহযোগীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তজুমদ্দিন এক কেজি গাাঁজাসহ বিক্রেতা আটক

যেভাবে সাভারের ফাস্ট লেডি হয়েছিলেন ডাক্তার ফরিদা

রির্পোটারের নাম
  • প্রকাশ: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫
  • ৪৭ দেখা হয়েছে :

আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানের ৩য় স্ত্রী আশুলিয়া তালবাগের ফজলুল হকের মেয়ে ডা. ফরিদা।এইএসসি পড়ার সময় তার ১ম বিয়ে হয় ফার্মাসিউটিক্যালসের সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ চপলের সাথে।একটি ছেলে ও রয়েছে। পরে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান চাচা সম্বোধনকারী সাবেক প্রতিমন্ত্রী কে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেন।

রানা প্লাজা ধ্বংসের পর ব্যাপক আলোচিত ডা. এনামুর রহমানের ফরিদা সহ  ৪ স্ত্রী। তিনি স্ত্রী ফরিদার সঙ্গে তালবাগের বাসায় থাকতেন। রাজনৈতিক অথবা সামাজিক যে কোনো অনুষ্ঠানে ফরিদা বিশেষ অতিথির মর্যাদা পেতে থাকেন। এ কারণে তিনি রাতারাতি সাভারের ‘ফার্স্ট লেডি’ হয়ে ওঠেন। সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ, ঠিকাদারি কাজ, সরকারি চাকরিতে পদোন্নতি, বদলি এমনকি ঝুট ব্যবসার কমিশনের অংশীদার হয়ে ওঠেন ফরিদা। রাতারাতি তিনি অঢেল অর্থের মালিক বলে যান।

সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এবং এনাম মেডিকেল কলেজে ভর্তিবাণিজ্য করে তিনি কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন। ব্যাংকে টাকা না রেখে তিনি স্বর্ণ ও জমিতে বিনিয়োগ শুরু করেন। পাশাপাশি এনাম মেডিকেল কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, সরকার নির্ধারিত ফির বাইরে তারা ৫ থেকে ৮ লাখ টাকা দিয়ে ভর্তি হয়েছেন।

এ টাকা ফরিদার হাতে দিতে হয়েছে। গোহাইলবাড়ী এলাকার ডিগ্রি কলেজের এক শিক্ষক জানান, পদোন্নতির জন্য তার কাছ থেকে তিন লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন ফরিদা। তবে তার পদোন্নতি হয়নি। দুই লাখ টাকা ফেরত দিলেও বাকি টাকা তিনি পাননি। টাকা চাইলে তাকে হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়।

সাবেক দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুরের স্ত্রী পরিচয়ে ডা. ফরিদা আগে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে নিয়োগ-বদলি, পদোন্নতি, ঠিকাদারি এমনকি ঝুট বাণিজ্য থেকে নিয়মিত কমিশন নিতেন। বর্তমানে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন।

এনাম নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী অন্বেষাকে পিটিয়েছেন ডা. ফরিদা। এর প্রতিবাদে হাসপাতাল চত্বরে মানববন্ধন করা হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে ডিগ্রি না থাকলেও প্রসূতিবিদ্যা ও স্ত্রীরোগবিদ্যা (গাইনি ও অবস) বিভাগের আবাসিক সার্জনের পদ দখলে রেখেছেন ডা. ফরিদা। ডিপ্লোমা (ডিজিও) ডিগ্রি নিয়েই তিনি জটিল সব অস্ত্রোপচার করেন। তার হাতে অসংখ্য প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যু হলেও সবকিছু চাপা পড়ে গেছে। এরই মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল চত্বরে বিএসসি নার্সিং শিক্ষার্থী অন্বেষাকে বেদম পিটুনি দিয়েছেন ফরিদা। সপ্তাহখানেক আগে হাসপাতালের প্রসূতি ও স্ত্রীরোগবিদ্যা বিভাগের আয়া সুফিয়া খাতুন আঁখিকে পিটুনি দেন ফরিদা। এ ঘটনায় শনিবার ক্ষুব্ধ কর্মচারীরা তাকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে। এক পর্যায়ে ২৪৫ নম্বর কক্ষ ভাঙচুর করা হয়।

২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি কমিশনের ভাগবাঁটোয়ারা ও দ্বন্দ্বে নিজের বাসায় ডা. এনামুরের ব্যক্তিগত পিও সাইদুর রহমান সুজনকে বেঁধে পেটান ডা. ফরিদা।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category



1

2

3

4

© All rights reserved ©  রংধনুটিভি ২০২৪
ESA IT BD Software Lab Trishal