বাংলাদেশের যতগুলো দলের নিবন্ধন পেয়েছি এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন বেশির ভাগ দলেই দুর্নীতি ও অনিয়ম করে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে । এখনো কিছু দল ক্ষমতায় না গিয়ে বিভিন্ন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠান দেখিয়ে সাধারণ লোকদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে ।আর ভয় ভীতি দেখানো হচ্ছে ,বিভিন্ন প্রোগ্রামে নাম করে মোট অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইঙ্গিত প্রদান করে বলেন একটি দল অর্থ সহায়তায় নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে অর্থ প্রদান না করা হলে তাদেরকে মিথ্যা মামলা, হামলায় অভিযুক্ত করা হচ্ছে। এই সকল অপকর্মের তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইনসাফ জিন্দাবাদ স্লোগানের ‘জনতার দল’-এর চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ শামীম কামাল। জনতার দলের চেয়ারম্যান ইতিমধ্যেই তার নির্বাচনীও এলাকা লালমনিরহাট ২ আদিতমারী ও কালীগঞ্জের আসনের সর্বসাধারণ সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করে যাচ্ছেন। গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দিনব্যাপী কালীগঞ্জ ও আদিতমারী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে ব্যাপক মোটরসাইকেলের শোডাউন করেছেন দলটি । আনুষ্ঠানিকভাবে দল গঠনের পর লালমনিরহাটে এটাই তার প্রথম আনুষ্ঠানিকতা ও নির্বাচনী এলাকা সফর ও গণসংযোগ । জনতার দলের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত শামীম-কামাল বলেন জুলাই আন্দোলনের পর আমি সরকারের পক্ষ থেকে ও অন্যান্য দলের পক্ষ থেকে বড় বড় প্রস্তাব পেয়েছি এমনকি সরকারের উপদেষ্টা হওয়ার প্রস্তাব আমার কাছে এসেছিল অনেকেই তাদের দলে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। এতে আমি রাজি হয়নি, আমি ভেবে দেখলাম কিছুদিন পর পর সেই দলগুলো ধাপে ধাপে অপমান হয়ে বিদায় নিতে হচ্ছে । সেই সাথে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে অনেকেই অনেকেই এখন বাড়িতে থাকতে পারতেছে না এ কারণে আমি নিজেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সহ সরকারের উচ্চ মহলের অবসরপ্রাপ্ত ঊর্ধতম কর্তৃপক্ষ, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল, জেনারেল, লেফটেন্যান্ট জেনারেল, ব্রিগেডিয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল , কর্নেল, লেফটেন্যান্ট কর্নেল ও মেজর সহ প্রায় শতাধিক উদ্ধতম কর্মকর্তাদের নিয়ে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ করা হয়েছে সেই দলের নাম জনতার দল বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত প্রায় সাড়ে ছয় লক্ষ সেনা সদস্য ও বিভিন্ন এনজিও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র, শিক্ষক, সাবেক সচিব সহ প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন সাবেক বিভিন্ন দলের মন্ত্রী-এমপি জনতা দলে আসার জন্য সম্মতি প্রকাশ করেছেন ।তিনি আরো বলেন, ৫ আগস্টের স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে বিষয়টি নিয়ে আমি গবেষণা করে খুঁজে বের করেছি যে, বাংলাদেশে ভালো মানুষ এখনো আছে। তারা রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং দেশের পরিবেশ উন্নত করা সম্ভব। সমগ্র বাংলাদেশে জনতার দলের সৎ ও যোগ্য ৪০ থেকে ৫০ জন সাহসী এমপি হওয়ার মত যোগ্য ব্যক্তিদের মনোনয়ন দিয়ে জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করতে জনতার দলের প্রথম টার্গেট” জনতার দলের” যে সকল এমপি প্রার্থীগণ জনতার দলে হয় নির্বাচন করবেন তাদের কে অবশ্যই দেশপ্রেমিক হতে হবে। সেনাবাহিনীতে অনেক অফিসার রয়েছে অত্যন্ত ভালো এবং যোগ্যতা সম্পন্ন অফিসার, তাদের মধ্যে থেকে আমি অনেক কে ইতিমধ্যেই খুঁজে বের করেছি।তিনি উল্লেখ করেন বলেন যাদের মধ্য থেকে প্রস্তাব দিয়েছি তাদের ৯৭ শতাংশ মানুষ আমার প্রস্তাবে রাজি হয়েছে দলের যোগদান করেছেন । বাংলাদেশের মধ্যে একমাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তার পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে অবসর গ্রহণ করেন। যা বাংলাদেশের মধ্যে একটি বিরল ঘটনা সারা জীবনের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে। অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের সাথে পরামর্শ ক্রমে এই দল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দলের চেয়ারম্যান চিন্তাভাবনা হলো স্বাভাবিক ভাবে দলগুলো যে পথে চলে, জনতার দল সেই পথে চলব না, বরং তার উল্টো পথে চলব। সাধারণ জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা চাওয়া পাওয়া ও দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবেন জনতার দল। তিনি বলেন মিথ্যা হামলা-মামলা ও হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে তারা এখন কোথায়। তিনি বলেন বরং বর্তমান দেশে লুটপাট বৃদ্ধি পাচ্ছে । সকল দলকে হুঁশিয়ার করে বলেছেন লালমনিরহাট দুই নির্বাচনী এলাকা আদিতমারী ও কালিগঞ্জ উপজেলায় এলাকায় জনতার দল অন্যায় ভাবে মিথ্যা হামলা-মামলা হতে দেওয়া হবে না। এর বিরুদ্ধে সকলের ঐক্যমত গড়ে তুলে আমাদের সকলকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। হ্যাঁ, যদি কেউ অন্যায়-অবিচার করে থাকে, তার নামে মামলা হোক। কিন্তু নিরীহ মানুষকে মিথ্যা মামলা বা হামলা করা হলে, তার প্রতিবাদ আমাদের করতেই হবে।তিনি বলেন, আদিতমারীতে বিএনপি অফিস কোথায়, তা অনেকেই জানে না, অথচ মামলায় কীভাবে তার নাম আসে? ছাত্র হত্যা মামলায় অনেক মানুষ এখন জেলখানায়। এগুলো বন্ধ করতে হবে দেশ এখন জুলুমের রাজ্যে পরিণত হয়েছে। যারা মিথ্যা মামলা দিয়েছে, তাদের বর্জন করুন, এখনো সময় আছে। তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও আমরা তাদের ভোটের মাধ্যমে প্রমাণ করে দিব সত্যের পথে জনতা রয়েছে ।গত ২০ মার্চ ঢাকায় এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘জনতার দল’ আত্মপ্রকাশ করে। অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ শামীম কামালকে চেয়ারম্যান করে দলের প্রাথমিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেই সাথে জনতা দলের বিভিন্ন ইউনিট পৃথক পৃথক ভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বেশকিছু আসন চূড়ান্ত করে ফেলেছেন জনতার দলের সিলেকশন কমিটি । দলটির লক্ষ্য হিসেবে ‘নতুন বাংলাদেশের অঙ্গীকার’ এবং স্লোগান হিসেবে ‘ইনসাফ জিন্দাবাদ’ নির্ধারণ করা হয়েছে। জনতার দলের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত শামীম কামাল তার নিজ বাসভবনে সাক্ষাৎকার প্রদান করেন।