সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ১৭ জনের মধ্যে দু’জন আপন ভাই সাখাওয়াত হোসেন (৩৪) ও সাইম হোসেন (২০)।পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,প্রাথমিকের গণ্ডি পার হতে পারেননি সাখাওয়াত। মাদ্রাসায় কয়েক মাস লেখাপড়া করে ১২ বছর আগে নিজ গ্রামে পানির ফিল্টারের ব্যবসা শুরু করেন। দুই বছরেও ব্যবসায় সফলতা আসেনি। সংসারে অভাব অনটন লেগেই থাকতো। মানুষের কাছ থেকে ধারদেনা করে সংসার চালাতেন।এরপর ছোট ভাই সাইমকে নিয়ে ঢাকায় চলে যান।
ভাই-বোনদের সবার বড় সাখাওয়াত হাফেজিয়া মাদ্রাসায় লেখাপড়া করার পর ঢাকার মতিঝিলে পানির ফিল্টারের ব্যবসা করেন। তবে রাতারাতি তারা শুরু করে বিলাসী জীবনযাপন।এশিয়া,ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন বলে জানা যায়।
তার বন্ধুদের সূত্র জানায়, ঢাকায় একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন।রয়েছে নিজস্ব গাড়ী,ময়মনসিংহের বাইপাসেও রয়েছে জমি। দুই বছর আগে কেনা প্রাইভেটকার চালানোর জন্য ড্রাইভার আছে।এশিয়া মহাদেশের প্রতিটি দেশ তার ভ্রমণ করা ছাড়াও আমেরিকা,কানাডা ভ্রমণ করেছেন।
সাখাওয়াতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,সাখাওয়াত ও সাইমের মা ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ১২ বছর আগে মারা যান।তারা ২ ভাই,২ বোন,এক বোন ঢাকায় একটি ব্যাংকে চাকরি করেন। আর ছোট বোন ময়মনসিংহের একটি বেসরকারি নার্সিং কলেজে পড়েন।
তাদের পিডা সাহেদ আলী বলেন, আমি ৪০ বছর ধরে ওয়েল্ডিং মিস্ত্রির কাজ করি। ছেলেরা আমার ১৭ কাঠা জমি বিক্রির টাকায় ঢাকায় পানির ফিল্টারের ব্যবসা করে আসছে। আনুমানিক দুই বছর আগে ব্যবসায়িক প্রয়োজনে ব্র্যাক ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ১১ লাখ টাকায় প্রাইভেটকার কিনেছে সাখাওয়াত। ব্যবসার ওপর ছেলেদের কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ আছে। আমার ছেলেদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
সূত্র জানায়,সাখাওয়াত হোসেন ও সাইম হোসেনের বাবা সাহেদ আলী ময়মনসিংহ নগরীর লাশকাটা ঘর এলাকায় ও পরে সেখান থেকে তিন বছর আগে দিঘারকান্দা বাইপাস এলাকার কাদুরবাড়ি মোড়ে ওয়েল্ডিংয়ের ব্যবসা করে আসছেন তিনি। আকুয়া বাইপাস এলাকায় ভাগনি কমলা খাতুনের বাসায় বসবাস করেন সাহেদ আলী।