মিহিরুজ্জামান সাতক্ষীরাঃ
সাতক্ষীরার দেবহাটার যুবককে তুলে নিয়ে হত্যার ঘটনায় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা: আ.ফ.ম রুহুল, সাবেক এসপি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির সহ ৫৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী ৭ নং আদালতে নিহতের ভাই রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট থাকা কে এফ আই আর হিসেবে গন্য করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন,সাবেক সিনিয়র সহকারী পুলিশ সদর সার্কেল সুপার কাজী মনিরুজ্জামান,এ,এস,পি কালিগঞ্জ সার্কেল মনিরুজ্জামান, দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারক বিশ্বাস,এস,আই জিয়াউল হক,শেখ আলী আকবর, তপন কুমার সিংহ, ইউনুস আলী গাজী, পি এস, আই তানভীর হাসান, এ,এস,আই এফ,এম তারেক, এ,এস,আই মদন মোহন অধিকারী, কনস্টেবল দেবাশীষ অধিকারী, জাহাঙ্গীর, গৌতম সাহা, আনোয়ার, আব্দুল্লাহ, ইসমাইল, মাহাফুজুল হক, আবু জাফর, শহিদুল, রেজাউল,ইব্রাহীম,শাহ জাহান, আবুল হাসেম, হাদিস উদ্দিন,আ: মজিদ, দলিল উদ্দিন, নুর ইসলাম, মনজুরুল, মেহেদী, দেবহাটা গ্রামের মৃত আজিজ মোড়লের পুত্র নজরুল ইসলাম, দাউদ আলীর পুত্র মুজিবর রহমান, মৃত. মজিদ গাজীর পুত্র মোমিন গাজী, সাংবাড়িয়া গ্রামের মজিবর রহমান, কামিনী বসুগ্রামের সাত্তার মোল্লার পুত্র নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন সাহেব আলী, নংলা গ্রামের এমদাদ বিশ্বাসের পুত্র মাহমুদুল হক লাভলু, ঘোনাপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র সামছুর রহমান, মোবারক আলীর পুত্র মনতেজ,মোমিন গাজীর পুত্র হাবিবুল্লাহ গাজী, মৃত রশিদ বিশ্বাসের পুত্র মোস্তফা বিশ্বাস, মৃত মোকছেদ গাজীর পুত্র মাহমুদ গাজী, আঞ্জু গাজীর পুত্র রমজান গাজী, ছুটিপুর গ্রামের মৃত মাদার গাজীর পুত্র আ: রশিদ, নওয়াপাড়া গ্রামের মৃত আক্কাজ আলীর পুত্র মনিরুজ্জামান মনি, আহাদ আলী গাজীর পুত্র এবাদুল গাজী, আব্দার আলীর পুত্র সিদ্দিক গাজী, মাঝের আটি গ্রামের হামিজ উদ্দীন গাজীর পুত্র আকবর আলী, মৃত নেছার উদ্দিন বিশ্বাসের পুত্র নাজমুস শাহাদাত (নফর বিশ্বাস),এবাদুল ইসলামের পুত্র জারিফুল ইসলাম, সাতক্ষীরা শহরের কামালনগর গ্রামের আফতাব উদ্দিন সরদারের পুত্র কিলার কামরুল(কেটো কামরুল) এবং দেবহাটার কোমরপুর গ্রামের মৃত মাদার সরদারের পুত্র আবু মুসা।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বিগত ২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি দেবহাটার নাংলা গ্রামের আব্দুল হান্নানের পুত্র আনারুল ইসলাম নিজস্ব মৎস্যঘের কাজ করছিল। এ সময় উল্লেখিত ব্যক্তিদের সহযোগিতায় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আনারুল ইসলামকে পুলিশ আটকের চেষ্টা করলে তিনি জীবনের ভয়ে দৌড় দিলে পুলিশ তাকে গুলি করে হত্যা করে। এর পরও উল্লেখিত ব্যক্তিদের নির্দেশে মৃত্যু নিশ্চিত না পর্যন্ত নির্যাতন করতে থাকে। অথচ উল্টো মৃত আনারুল ইসলামকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। সে সময় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ভিন্ন থাকায় মামলা করার সাহস পায়নি। তবে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর পরিস্থিতি অনুকুলে আসায় ন্যায় বিচার পাওয়ার দাবিতে মামলা রুজু করেছেন বলে বাদী রবিউল ইসলাম দাবি করেছেন।