মোঃমাসুদ রানা, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ
বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে খাগড়াছড়ি। খাগড়াছড়ির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রের্কড করা হয়েছে। রেকর্ড বৃষ্টিপাতের কারণে প্লাবিত হয়েছে গ্রাম থেকে শহর। সম্প্রতিকালে খাগড়াছড়ি শহর না ডুবলেও বৃহস্পতিবার সকালে থেকে তাও প্লাবিত শুরু করেছে। পানি প্রবেশ করছে মেরুং ইউনিয়নের আশ্রয়কেন্দ্রেও। প্লাবিত হয়েছে দীঘিনালার তিন ইউনিয়নের ৫০ গ্রাম। গুইমারা উপজেলা অনেক নিচু এলাকা পানির নিচে। জালিয়া পাড়া চৌরাস্তা এলাকা। এর ফলে খাগড়াছড়ি-চট্রগ্রাম-খাগড়াছড়ি-ঢাকার সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ির চেংগী ও গুইমারার পিছলাক নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে। বুধবার বিকাল থেকে গুইমারার জালিয়া পাড়া, গুইমারা বাজারসহ কয়েকটি গ্রাম পানির নীচে তলিয়ে যায়।
এতে সড়কটিতে পর্যটকবাহী যানবাহনসহ সব ধরনের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কয়েকদফা পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার সিন্দুকছড়ি মহালছড়ি সড়কের ধুমনিঘাট এলাকায় পাহাড় ধসে যান চলাচল বন্ধ ছিল। আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার সিন্দুকছড়ির জিরো পয়েন্ট এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এদিকে ফেনী নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে রামগড় পৌরসভাসহ নিচু এলাকা। আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন সহস্রাধিক মানুষ। নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে দীঘিনালার মেরুং, বোয়ালখালি ও কবাখালি ইউনিয়নের ৫০ গ্রাম।এর মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রও ডোবা শুরু হয়েছে। মেরুং বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রের নীচতলা ডুবে গেছে। সেখানে আশ্রয় নেওয়া ২৯টি পরিবারকে বিদ্যালয় ভবনে দ্বিতীয় তলায় তুলে দেওয়া হয়েছে।