ঢাকায় সমাবেশে যোগ দিলেই মিলবে সর্বনিম্ন এক লাখ করে সুদমুক্ত ঋণ। শর্ত অনুযায়ী এ ঋণ পেতে যোগ দিতে হবে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত একটি সমাবেশে।
সমাবেশে যোগ দিতে রোববার সন্ধ্যার পর লক্ষীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েক’শ নারী পুরুষ নিয়ে ৫ টি বাস ও ৭ টি মাইক্রোবাস নিয়ে ঢাকা অভিমুখে যাত্রা করে অন্তত দুই শতাধিক নারী ও পুরুষ। এসময় গাড়িগুলো পথিমধ্যে উপজেলার কড়ইতোলা বাজারে আটকে দেন স্থানীয় ছাত্র জনতা। এ কাজের সঙ্গে জড়িত ১১ জনকে আটক করেছে স্থানীয় প্রশাসন । পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ছুটে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। তবে এ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মূল হোতাদের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসন।
মাইক্রো ড্রাইভার শামসুদ্দিন জানান, শাহাবুদ্দিন নামের একব্যাক্তি বলেন আমার সহ ফজুমিয়ার হাট থেকে তিনটি গাড়ি ভাড়া করছে বলছে ঢাকা যাইতে আমার আর কিছু জানিনা বুঝি নাই গাড়ি ভাড়া ধরাইছে এই জন্য ভাড়া নিয়ে রওনা হয়েছিলাম।
ভাড়া করা যাত্রীবাহী বাস ঢাকা এক্সপ্রেসের চালক মো. সোহেল জানান, আলমগীর ও সিরাজ নামে দুই ব্যক্তি ঢাকায় যেতে আমার বাস ভাড়া করেছিলেন। কিন্ত এখন তারা গাড়ি থেকে সটকে পড়েছে।
এ সময় বাসে থাকা এক নারী জানান, আইডি কার্ডের কাগজ নিছে আর ভাড়া বাবত এক হাজার টাকা নিছে ওরা বলছে মুন্সিরহাট মিটিং হয়েছে অনেকে গেছে আমি যাই নাই তবে ঢাকা গেলে তারা তদন্ত করে এক লক্ষ করে টাকা দিবে।
তারা বলছে আমাদের মতো দেশের সব জেলা থেকে লোক আসবে আন্দোলনে অংশ নিয়ে ঋণ নেওয়ার জন্য, কিন্তু এতো কিছু বুঝতে পারি নাই মনে করছি সবার যে গতি আমার ও সে গতি হবে।
থানায় আটক নাজমা বেগম বলেন করিম মেস্ত্রী আমাগো বলছে একলক্ষ টাকা লোন দিবো আমাগোতন একহাজার টাকা নিছে গাড়ি ভাড়া আমাগোরে কইছে ঢাকা জাইতাম মিটিং ঐবো মিটিংয়ের পরে আমাগরে একলক্ষ টাকা দিবো পরে আমগরে হেগো বাড়ি যাইতো বলছে গেলে মানুষে আমাগরে আটক কইরা লইছে।
জানা গেছে, ঋণ নিতে আগ্রহীদের প্রতারকরা ২৫ নভেম্বর ঢাকার শাহবাগে সম্মেলনে উপস্থিত হতে উদ্বুদ্ধ করে। ঋণের আবেদন ও সম্মেলনে উপস্থিতির জন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে তারা নিয়েছে এক হাজার টাকা। ঋণপ্রত্যাশী ও সম্মেলনে উপস্থিতির জন্য দেওয়া হয়েছে টোকেন। টোকেনধারী সবাইকে দেওয়া হবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ থেকে একলাখ টাকা সুদমুক্ত ঋণ।
কমলনগর থানার ওসি তহিদুল ইসলাম জানান,ঢাকার একটা প্রতারক এক্র কমলনগরে কিছু এজেন্টের মাধ্যমে কমলনগরের সাধারণ হতদরিদ্র নারী পুরুষের লোন দিবে বলে মোটিভেশন করে সরকারকে বিব্রত করার জন্য ঢাকায় নিয়ে পরিস্থিতি অস্বাভাবিক করার চেষ্টা করে। ফলে স্থানীয়দের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ১১ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করি তবে এখনো মূল হোতা বা চক্রান্তকারীদের সনাক্ত করতে পারি নাই মূল হোতাদের সনাক্ত করার জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।