ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর উত্তরায় উলামা পরিষদের বিক্ষোভ
বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর পলওয়েল কনভেনশনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে উত্তরার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাজলক্ষ্মী কমপ্লেক্সের সামনে এসে শেষ হয়।
বৃহত্তর উত্তরা উলামা পরিষদের সেক্রেটারি মুফতি নেয়ামতুল্লাহ আমিনের সঞ্চালনা ও সংগঠনের সভাপতি মাওলানা কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শায়খুল হাদিস আল্লামা শেখ আজিমুদ্দিন।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর পলওয়েল কনভেনশনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে উত্তরার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাজলক্ষ্মী কমপ্লেক্সের সামনে এসে শেষ হয়।
বৃহত্তর উত্তরা উলামা পরিষদের সেক্রেটারি মুফতি নেয়ামতুল্লাহ আমিনের সঞ্চালনা ও সংগঠনের সভাপতি মাওলানা কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শায়খুল হাদিস আল্লামা শেখ আজিমুদ্দিন।
এসময় বক্তব্য দেন বৃহত্তর উত্তরা উলামা পরিষদের সহসভাপতি মুফতি আবু সালেহ রহমানি, মাওলানা ইদ্রিস কাসেমী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সুহাইল সাদি, মাওলানা বশির হায়দার, মুফতি এনায়েতুল্লাহ ও মাওলানা সাইদুল ইসলাম প্রমুখ।
এ সময় ‘জঙ্গি জঙ্গি, ইসকন জঙ্গি’, ‘এক দুই তিন চার, ইসকন তুই দেশ ছাড়’, ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘আমার সোনার বাংলায়, উগ্রবাদের ঠাঁই নাই’, ‘ভারতের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’ স্লোগান দিতে দেখা যায় আন্দোলনকারীদের।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে হিন্দু-মুসলমানসহ সব ধর্মের ভেদাভেদ ভুলে আন্দোলন করেছিলেন ছাত্র-জনতা। কিন্তু পতিত সরকারের দোসর ও দিল্লির ষড়যন্ত্রে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর ষড়যন্ত্র চলছে। সেই উদ্দেশ্যেই চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।’
আন্দোলনকারীরা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনজীবী হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার, ইসকন নিষিদ্ধ করা, ইসকনের অর্থের উৎস অনুসন্ধান ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টির জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
বক্তারা আরও বলেন, ‘ইসকন একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। সন্ত্রাসী এ সংগঠনটির লক্ষ্যই হলো দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করা। বিগত ১৬ বছর ধরে তারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারে ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করেছে। এখন দেশকে তারা হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা সৃষ্টি করে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। আমরা অবিলম্বে এ সংগঠনকে নিষিদ্ধের দাবি জানাই। সেইসাথে আইনজীবীকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন মাওলানা ফজলুল হক সিদ্দিকী, মুফতি আল আমিন সিরাজী, মুফতি মাহমুদুল হাসান, মুফতি মাইনুদ্দিন নোমানী, মাওলানা আশরাফুল ইসলামসহ বৃহত্তর উত্তরা উলামা পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলরা।