ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে বিএনপির তিন সংগঠনের পদযাত্রা আজ
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, জাতীয় পতাকা অবমাননা এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিএনপির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন যৌথভাবে পদযাত্রা করবে। আজ রবিবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে বাংলাদেশের ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে অনুষ্ঠিত এই পদযাত্রা শেষে স্মারকলিপি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সংগঠন তিনটির শীর্ষ নেতারা।
গতকাল শনিবার বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তিন সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের যৌথ বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়। যুবদলের দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে তিন সংগঠনের নেতাকর্মীরা পদযাত্রা করে ভারতীয় দূতাবাসের অভিমুখে যাবেন এবং সেখানে স্মারকলিপি দেবেন।
বৈঠকে যুবদল সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এসএম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান, ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরসহ সংগঠন তিনটির বিভিন্ন পর্যায়ের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে কাকরাইল, মালিবাগ মোড়, রামপুরা, বাড্ডা, শাহজাদপুর হয়ে ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে যাবে।
জানা গেছে, বৈঠকে পদযাত্রা ও স্মারকলিপির পর একই ইস্যুতে ভারতের আগরতলার এপারে বাংলাদেশের সীমান্ত পর্যন্ত লংমার্চ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঢাকা থেকে আখাউড়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি করা হতে পারে। এই লংমার্চ কর্মসূচির সম্ভাব্য তারিখ আগামী ১১ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। এ নিয়ে সংগঠনের নেতারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে গত রাতে ভার্চুয়ালি কথা বলেছেন। আজ-কালের মধ্যে লংমার্চের চূড়ান্ত তারিখ জানানো হতে পারে বলে দুটি অঙ্গসংগঠনের দুই নেতা জানিয়েছেন।
তারা বলেছেন, ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস থাকার কারণে এর আগেই তারা আগরতলা অভিমুখে লংমার্চ করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে। এখন তিনি এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।