কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে লুধিয়ারায় আব্দুল হাই কানু নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তার ঘটনায় অভিযুক্তদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে বলে জানিয়েছে কুমিল্লা জেলা পুলিশ। ঘটনার পর থেকে বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) আরাফাতুল ইসলাম।
এএসপি আরাফাতুল বলেন, ‘ঘটনার পর পুলিশের পক্ষ থেকে ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তিনি মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ রয়েছেন, তবে নিরাপদ রয়েছেন। তবে তিনি কি থানায় আসবেন, নাকি আমরা যাবো – এ বিষয়ে কিছু বলেননি। তবে যারা এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন আমরা তাঁদের শনাক্ত করেছি এবং আটকের চেষ্টা অব্যাহত আছে।’
স্থানীয়দের ভাষ্য, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুর বিরুদ্ধে হত্যাসহ নয়টি মামলা রয়েছে। তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে সম্পৃক্ত থাকারও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া স্থানীয় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যের সঙ্গে বিবাদ থাকায় কৃষক লীগ নেতা হওয়া সত্ত্বেও গত সরকারের আমলে তিনি এলাকায় যেতে পারেননি।
মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে জুতার মালা পরিয়ে এলাকা ছাড়া করার একটি ভিডিও ক্লিপ গতকাল রোববার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষজন। ঘটনার পর থেকে আবদুল হাই কানু ফেনীতে তাঁর মেয়ের বাড়িতে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার প্রমোদ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ‘যারা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুকে অপমান করেছে আমরা তাঁদের বিচার ও শাস্তি দাবি করছি। না হলে আমরা মুক্তিযোদ্ধারা কর্মসূচির ঘোষণা দেব এবং আইনীভাবে একটি মামলা দায়ের করব।’