বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
সাভারে বাস-অ্যাম্বুলেন্সে আগুন, অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত ৪ খাগড়াছড়ির রামগড়ে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা প্রদান ত্রিশালে সন্ত্রাসী সাগরের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে হান্নানের পরিবার ময়মনসিংহ অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিল পরিবেশ অধিদপ্তর খালেদা জিয়া সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন’ নতুন বাংলাদেশের জন্য আমিরাতে ৬০ নবনির্বাচিত সিআইপির সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে দেশ ও মানুষের মঙ্গলে খালেদা জিয়ার সুস্থতা জরুরি: জিএম কাদের মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হও’ লিখে সমন্বয়কদের হুমকি সচিবালয় গেটে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, পুলিশের ফাঁকা গুলি নতুন কর্মসূচি দিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

ত্রিশালে গোডাউনে তৈরি হচ্ছিল নামী ব্র্যান্ডের খাদ্যপণ্য

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৫
  • ১৬৫ দেখা হয়েছে :

ত্রিশালে গোডাউনে তৈরি হচ্ছিল নামী ব্র্যান্ডের খাদ্যপণ্য

ময়মনসিংহের ত্রিশালের নামকরা নামিদামি ব্র্যান্ডের প্রতিষ্ঠানের নামে নকল খাদ্যপণ্য তৈরি করে মোড়কজাত করে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নামে জুস, আচার, সুগন্ধি চাল, চিনি ডিটারজেন্ট, সেমাইসহ কয়েক ধরনের নকল পণ্য অবাধে উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছে ময়মনসিংহের ত্রিশালের আনোয়ার হোসেন শামীম নামের এক ব্যক্তি। মেসার্স সিফাত এন্টারপ্রাইজ নামের প্রতিষ্ঠান ঘরে তুলে পন্যের পরিবেশক পরিচয়ে এ কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।

জানতে পেরে, খাদ্য পণ্য নকল করার অভিযোগ পেয়ে সরেজমিন শামীমের গোডাউনে গেলে এই দৃশ্য দেখা যায়। তবে মেসার্স সিফাত এন্টারপ্রাইজের মালিক শামীম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি আগে এগুলো তৈরি করতাম কিন্তু এখন করি না। আমি ছাড়াও এ এলাকায় আরও প্রায় বিশজন এ কাজ করে।

শামীমের গোডাউন ঘুরে দেখা যায়, বনফুল লাচ্ছা সেমাই, চাষি চিনিগুড়া চাল, অর্গানিক আখের চিনি, ছালেহা আচার, ডিটারজেন্টের খালি মোড়ক। তাছাড়াও সন্দেশ, বাচ্চাদের খাওয়ার আইচ ললি রোবট ও মেয়াদহীন লিন ম্যাংগু জুস। এগুলো তৈরির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ও এগুলো তৈরির রাসায়নিক দ্রব্য। অভিযোগ রয়েছে তিনি যৌন উত্তেজক বড়ি ও সিরাপ তৈরি করে কৌশলে বাজারজাত করে আসছেন দীর্ঘনিদ যাবৎ।

তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, আমি আগে এগুলো তৈরি করতাম, এখন গাজীপুর থেকে মাল এনে সাপ্লাই দেই। গোডাউনে থাকা পন্য গুলোর মেয়াদ ও অনুমোদন না থাকা বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে সে বলে, এগুলো আমার জানা নাই, যেখান থেকে আনি তারা জানে। তাদের কাছে জিগাইন। বিভিন্ন পণ্যের মোড়ক, যন্ত্রাংশ ও রাসায়নিক দ্রব্য এখনো তাহলে গোডাউনে কেন প্রশ্ন করা হলে সে বলে, এগুলো কি ফেলে দেবো! টাকা দিয়ে কিনেছি। অন্যদের কাছে বিক্রি করে দেবো।

 

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এস.এম জিয়াউল বারী বলেন, প্রতিবছর অনিরাপদ খাদ্য গ্রহনের জন্য চার লাখ বিশ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। এ বিষক্রিয়া দিয়ে তৈরি পণ্য গুলো শিশু থেকে বৃদ্ধ যেই খাবে না কেন, সবারই বিভিন্ন জটিল রোগ ও ক্যান্সারের মতো মরণব্যধী রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করতে পারে। এসব অসাধু ব্যবসায়ীদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা উচিত।

উপজেলা সেনেটারী ইন্সপেক্টর আবুবক্কর সিদ্দিক বলেন, এ বিষয়ে আমরা অবগত নই। এখন যখন জেনেছি দ্রুত সময়ের মধ্যেই ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাহবুবুর রহমান বলেন, এ বিষয়টি শুনেই বিএসটিআইকে অবগত করেছি। তাদেরসহ আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যেই অভিযান পরিচালনা করবো।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category



© All rights reserved ©  রংধনুটিভি ২০২৪
ESA IT BD Software Lab Trishal