সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১৫ পূর্বাহ্ন

৪০ বছর পর এমপিওভুক্ত হচ্ছেন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকরা

ডেস্ক রির্পোট
  • আপডেট সময়: মঙ্গলবার, ৪ মার্চ, ২০২৫
  • ১০৯ টাইম ভিউ

৪০ বছর পর নিবন্ধিত ১ হাজার ৫১৯টি ইবতেদায়ী মাদ্রাসা এবং কর্মরত শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সূত্র জানায়,আগামী মে মাস থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বেতন-ভাতা পেতে পারেন। এসব শিক্ষকের এমপিও দিতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট থেকে ১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার প্রস্তাবনা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো হচ্ছে। সূত্র জানায়,স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো ইবতেদায়ী মাদ্রাসাকে এমপিওভুক্ত করতে যাচ্ছে সরকার। এর আগে কয়েক দফা উদ্যোগ নিলেও শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। এবার পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নতুন সচিবের নেতৃত্বে শিক্ষকদের দুঃখ মোচনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে দেশে ৬ হাজার ৯৯৭টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা আছে। এ ছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের হিসাবে আরও পাঁচ হাজারের মতো মাদ্রাসা আছে।শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনাক্তকারী নম্বর (ইআইআইএন) আছে ১ হাজার ৫১৯টি মাদ্রাসার। প্রথম ধাপে এসব প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হবে। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের একজন প্রধান ধরে মোট চারজন শিক্ষক এমপিওভুক্ত হবেন। সেই হিসাবে ৬ হাজার ৭৬ জন শিক্ষক এমপিওভুক্ত হতে পারেন। এতে সরকারের খরচ হবে ১৬ কোটি টাকার কিছু বেশি। এটা নিয়ে কাজ চলছে। খুবই শিগগিরই এ সংক্রান্ত সামারি (সারসংক্ষেপ) প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানো হবে। আমরা চেষ্টা করছি, মে মাসের মধ্যে শিক্ষকরা যেন বেতন-ভাতা পান। তবে পুরোটা নির্ভর করছে সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর ড. খ ম কবিরুল ইসলাম সচিব, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগ কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের দায়িত্বশীল একটি সূত্র বলছে, দেশে প্রথমবারের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করা হচ্ছে। কোন প্রেক্ষাপটে, কীভাবে এসব প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হচ্ছে তার সারসংক্ষেপ প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানো হচ্ছে। সারসংক্ষেপ তৈরির কাজ শেষ, যাচাই-বাছাই চলছে জাতীয়করণ প্রসঙ্গে কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব খ ম কবিরুল ইসলাম বলেন, জাতীয়করণ করতে পারে কেবল রাজনৈতিক সরকার। আপাতত আমাদের যেটুকু সক্ষমতা আছে তা নিয়ে এমপিওভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। তিনি আরও জানান, এই ১ হাজার ৫১৯টি মাদ্রাসার বাইরে যেসব ইবতেদায়ী মাদ্রাসা আছে সেগুলোকেও সরকারের নীতিমালা ও নিবন্ধনের আওতায় আনার জন্য কাজ করছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে সব মাদ্রাসাকে এডুকেশনাল ইনস্টিটিউট আইডেন্টিফিকেশন নম্বর বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনাক্তকারী নম্বর (ইআইআইএন) দেওয়ার চেষ্টা করছি। মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করার পেছনে মন্ত্রণালয়ের যুক্তি হলো:-স্বাধীনতার পর কয়েক ধাপে প্রাথমিক স্কুল জাতীয়করণ হলেও একই স্তরের ইবতেদায়ী মাদ্রাসাকে জাতীয়করণ তো দূরের কথা শিক্ষকদের ন্যূনতম সুবিধা পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। বিগত সরকার কয়েক দফায় এ উদ্যোগ নিলেও শেষ মুহূর্তে অদৃশ্য কারণে তা আটকে যায়। সর্বশেষ ২০১৮ সালে ইবতেদায়ী মাদ্রাসাগুলোকে এমপিওভুক্ত করতে বাজেট সংকুলান করেও শেষ মুহূর্তে তা হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব বলেন, ১ হাজার ৫১৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসাকে এমপিওভুক্ত করার জন্য সারসংক্ষেপ তৈরি করার কাজ শেষ। এখন প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানোর আগে শেষ মুহূর্তের যাচাই-বাছাই চলছে।জানতে চাইলে কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম বলেন, এটা নিয়ে কাজ চলছে। খুবই শিগগিরই এ সংক্রান্ত সামারি (সারসংক্ষেপ) প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানো হবে। আমরা চেষ্টা করছি, মে মাসের মধ্যে শিক্ষকরা যেন বেতন-ভাতা পান। তবে পুরোটা নির্ভর করছে সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 Breaking News
ESAITBD Sof-Lab UAE/BD