এইচ এম হাছনাইন, ভোলা প্রতিনিধি
ভোলা সদর উপজেলার ইলিশায় একটি ঘাট রয়েছে। যা ভোলা থেকে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোর সাথে যোগাযোগর অন্যতম মাধ্যম। এখান দিয়ে ভোলা-টু-লক্ষ্মীপুরের মাধ্যমে দেশের অন্যান্য জেলাগুলোর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা হয়। এই রুট দিয়ে একদিকে ফেরী, অন্যদিকে সি-ট্রাক, ও ছোট ছোট লঞ্চ এবং স্টিলবডি ট্রলারের মাধ্যমে যাতায়াত করা হয়। ভোলা থেকে লক্ষ্মীপুর যাওয়ার মাঝখানে রয়েছে ২৯ থেকে ৩০ কিলোমিটারে নদী। আর এই নদী পার হওয়ার জন্য রয়েছে বিআইডব্লিউটিএ এর অনুমোদিত লঞ্চ এবং ফেরী। ইলিশা ও লক্ষ্মীপুর ঘাটের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী, ভোলা-টু-লক্ষ্মীপুর গামী যাত্রীদেরকে কেন্দ্র করে চালিয়ে যাচ্ছেন অবৈধভাবে ব্যবসা। তাদের এই অবৈধ ব্যবসার মুল হাতিয়ার হচ্ছে ট্রলার এবং স্টিলবডি। যা এই ২৯/৩০ কিলোমিটার নদী পার হতে হলে দিতে হয় ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকা, যা কল্পনাবিহিন।
এছাড়া এই রুটে বর্ষা মৌসূমে ডেঞ্জারজোন হিসেবে ঘোষণা থাকলেও মানছেন না কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা। ট্রলার এবং স্টিলবডি’র মালিকরা যাত্রীদের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলে করে যাচ্ছেন অবৈধ ভাবে যাত্রী পারাপারর। অবৈধভাবে এ যাত্রী পারাপারের মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। জানাগেছে ওই সকল ব্যবসায়ীরা ঘাট কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনের লোকজনকে ম্যানেজ করেই নাকি তারা এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
অন্যদিকে ইলিশা ঘাট এলাকায় বিআইডব্লিউটিএ ও নৌ-পুলিশের অফিস থাকা সত্ত্বেও কিভাবে অনিয়মের মাধ্যমে এভাবে যাত্রী পারাপার করছে তা এখন চিন্তার বিষয়। তা কি দেখেও না দেখার ভান করছেন ? না কি মোটা অংকের মাসোহারার কারণে এই বিষয়টি তারা এড়িয়ে যাচ্ছেন ? এটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। মেঘনা নদীর ডেঞ্জারজোন দিয়ে যাত্রীদের জীবনের ঝুকি নিয়ে এভাবে অবৈধভাবে যাত্রী পারাপার করছে একটি মহল, তা হলে এই ঘাটে বিআইডব্লিউটিএ ও নৌ-পুলিশের অফিস এবং কর্মকর্তারা থেকেই বা কি কাজ করছেন ? যেহেতু অনিয়মের মাধ্যমে এই রুটে যাত্রী পরাপার চলছে, তাই যেভাবে চলচে সেভাবেই চলুক, বিআইডব্লিউটিএ ও নৌ-পুলিশের কোন দরকার নেই এখানে। সাধারণ মানুষের জীবনের মুল্য তো আর তাদের কাছে নেই। তাদের দরকার মোটা অংকের মাসোহারা। এতে করে মানুষের কি হলো, আর কি হলো না তাতে তাদের কিচ্ছু যায় আসে না এমনটাই বলছেন স্থানীয়রা। তাই যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে জেলা প্রশাসনকে অতিদ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছে ভোলার সচেতনত মহল।