বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
আমিরাতের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাজেট অনুমোদন করলেন শারজাহ শাসক বঞ্চিত ১১৯ জনকে সচিব ও ৪১ জনকে প্রথম গ্রেডে পদোন্নতির সুপারিশ করবে সরকার ভোলায় সাদপন্থীদের নিষিদ্ধ ও সন্ত্রাসীদের ফাঁসির দাবিতে ভোলা জেলা অবরোধের ঘোষণা পেশার মর্যাদা, সুরক্ষা এবং সাংবাদিকদের অধিকার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব: বিএমএসএফ ১৭ বছর পর কারামুক্ত আব্দুস সালাম পিন্টু মাদ্রাসা অধিদপ্তরে প্রশাসন ক্যাডারের পরিচালক নিয়োগ ৬ মাসে ১০০ পোশাক কারখানা বন্ধ, বেকার ৫০ হাজার শ্রমিক তজুমদ্দিনে সাদপন্থীদের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে প্রতিবাদ সভা, বিক্ষোভ মিছিল, জামায়াত নেতার পায়ের রগ কেটে দিল চাঁদাবাজরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবৃদ্ধ মাদ্রাসা ছাত্র আর নেই

দীর্ঘ ১৫ বছর সরকারি ঘরে থাকার পরেও সভাপতি চান্দের ষড়যন্ত্রে আজ ঘর হারা রমিজা

রির্পোটারের নাম
  • প্রকাশ: বুধবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৪
  • ১৭৩ দেখা হয়েছে :

সহ সম্পাদক ইমরান বাশার ও মোহাম্মদ সজীব

ময়মনসিংহের ত্রিশালের ৭নং হরিরামপুর ইউনিয়নের চান্দেরটিকি বাজারের সরকারি আবাসস্থলে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বসবাস করছেন মোছাঃ রমিজা। হরিরামপুর ইউনিয়নের সাবেক সফল চেয়ারম্যান মোঃ চাঁন মিয়ার নির্দেশনা মতে সমস্ত কাগজপত্র সম্পন্ন করে রমিজা সেই সমস্ত কাগজপত্র সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর জমা দিয়ে তিনি ঘরে থাকা শুরু করেন। পরবর্তীতে কাঁচা ঘর পাকা করার প্রক্রিয়া চলাকালীন আবাসস্থলের সভাপতি মোঃ চান্দে রমিজাকে আবাসস্থলের নিকটবর্তী একটি বাড়িতে সাময়িক থাকতে দিতে বলে এবং পরবর্তীতে ঘরের কাজ সম্পন্ন হলে পাকা ঘরে নিয়ে আসবে বলে ওই বাড়ির লোকদের জানায়।

পরবর্তীতে রমিজাকে ঘর থেকে বাহির করে যখন স্থানীয় এক বাড়িতে দিয়ে আসে তখন তার কাছ থেকে তার নিকট থাকা তার জমির সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে নেয়।পরবর্তীতে পাকা ঘরের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর রমিজাকে আর ঘরে প্রবেশ করতে দেয় নি। রমিজার এই পৃথিবীতে আপনজন বলতে কেউ নেই এমনকি থাকার মতো কোনো জায়গাও নেই।আমরা সরজমিনে সরকারি আবাসস্থলটিতে যাওয়ার পরে জানতে পারি ৬৫ টি ঘরের মধ্যে সভাপতি চান্দের দখলে ১২ টি ঘর। যেই ঘরগুলোতে চান্দের আত্মীয় স্বজনরা থাকতেছে।যাদের বাহিরে জায়গা জমি ও থাকার মতো বাড়িও আছে।

শুধু তাই নয় আরও কিছু সংখ্যক ঘর তালা লাগিয়ে রেখেছে যেগুলো খালি পড়ে আছে। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে তৎক্ষনাৎ খালি ঘরগুলোতে বাহির থেকে লোকজন এনে জায়গা পূরণ করে। বেশ কিছু সংখ্যক ঘরগুলোতে যারা বসবাস করছে তাদের সবারই বাহিরে জায়গা জমি ও থাকার মতো বাড়িও আছে। এই মহিলাটি যেই বাড়িতে আছে সেই বাড়ি থেকে মহিলাকে বের করে দেয়ার জন্য বারবার চাপ সৃষ্টি করছে সভাপতি চান্দে। এই বিষয়ে ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন জমা দিলে তিনি সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে দায়িত্ব দিয়ে বলেন সরজমিনে আবাসস্থলে গিয়ে তদন্ত করে যদি বাহিরে জায়গা জমি ও থাকার মতো বাড়িও আছে এরকম পাওয়া যায় অথবা কোনো প্রকার অনিয়ম পাওয়া যায় অথবা ঘর খালি থাকে তাহলে সেই ঘরে মোছাঃ রমিজাকে থাকার ব্যবস্থা করে দিতে।

কিন্তু পরবর্তীতে কোনো প্রকার তদন্ত করা হয়নি।স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বর মোঃ আলম মিয়ার সাথে এ বিষয়ে কথা বললে উনি বলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অথবা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা পেলে তিনি সরেজমিনে গিয়ে ওই মহিলা রমিজাকে ঘরে তুলে দিয়ে আসবেন। বৈষম্য বিহীন বাংলাদেশে এতো বড় বৈষম্য মেনে নেয়া যায় না এমন টায় বলছেন সুশীল সমাজ ।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category



© All rights reserved ©  রংধনুটিভি ২০২৪
ESA IT BD Software Lab Trishal