লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার মহিষতুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সফিয়ার রহমান কে তার এক সহকর্মী তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাহবুবার রহমান নামে এক শিক্ষক স্থানীয় কিছু ভাড়াটিয়া দাঙ্গাবাজ দিয়ে স্কুলেই লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে। আহত সহকারী শিক্ষক সফিয়ার রহমান কে উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৬/৪/২০২৫ ইং তারিখে লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার ভেলা বাড়ী ইউনিয়নের মহিষতুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে সামনে, ঘটনার ১০ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোন প্রকার ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে ।স্থানীয় ব্যক্তিদের মাধ্যমে গোপন সূত্রে জানা যায় আসামিরা অত্যন্ত ক্ষমতাধর ব্যক্তি তাই এখন পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ কোন প্রকার ব্যবস্থা নিতে পারেনি । ভাড়াটিয়া দাঙ্গাবাজ আসামি হচ্ছেন,১,সহকারী শিক্ষক মাহাবুব রহমান, ২,আবুল হোসেনের ছেলে আবেদ আলী ,৩,হেলাল উদ্দিনের ছেলে মফিজুল ইসলাম,৪, ছলিমুদ্দিন নাতি জব্বার আলী,৫, কেরামত আলী ছেলে আবুল কাশেম, এদের সাথে যোগ দিয়েছে মোগল হাট এলাকার আরেক দাঙ্গাবাজ সাইদুল ইসলাম। উপরোক্ত দাঙ্গাবাজ যোগ সাজসে তাদের বাড়ি পাশে ঘটনাস্থল এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেই সুযোগে ক্ষমতা অপব্যবহার করে সহকারী শিক্ষক মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে লাঠি সোটা নিয়ে শিক্ষক মোঃ সফিয়ার রহমানকে তুচ্ছ ঘটনায় (কলম নিয়ে স্বাক্ষর করাকে কেন্দ্র করে ) দুই সহকারী শিক্ষকের মাঝে তর্ক বিতর্ক হয় বিষয়টি সেখানে সমাধান হয়ে গেলেও অপর সহকারী শিক্ষক মাহবুব রহমান উপরোক্ত ভাড়াটিয়া লোকদের নিয়ে এসে মারপিট করে গুরুতর আহত করেন এক পর্যায়ে কানে ধরে উঠা বসা করেছে সেই সাথে ভিডিও ধারণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরবর্তীতে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসার শেষে বিচার চেয়ে সহকারী শিক্ষক সফিয়ার রহমান সরকারের ঊর্ধ্বতম কর্তৃপক্ষ সহ আদিতমারী থানা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। উক্ত বিষয়টি নিয়ে উপজেলার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবক বৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনাটি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। এই ব্যাপারে আদিতমারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানার জন্য একাধিক বার ফোন করলেও ফোন রিসিভ করেননি ।