মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:২৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা অনার্সও পাস না করেও জাল সনদে চাকরি ঢাকার মডেলের দাওয়াতের ফাঁদে চট্টগ্রামের সরকারি কর্মকর্তা,৬০ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় সহকারী শিক্ষক সফিয়ার রহমান কে ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগ । দেশে মানবতার আলো ছড়ানো এক তরুণ সমাজদ্রষ্টা আরফিন রাহাদ সাতক্ষীরায় অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন ১৫ জেলার সাংবাদিক ত্রিশালে ৬ ইউপি চেয়ারম্যানসহ আসামি ২৮,গ্রেফতার ১,অজ্ঞাত ৩০/৩৫ কালেরকণ্ঠের প্রতিনিধির ১০ দিনের কারদন্ড,বিএমএসএফের প্রতিবাদ,তথ্য কমিশনে যাচ্ছেন বিএমএসএফ সভাপতি ময়মনসিংহে ডিসি নির্দেশে ফার্মেসিতে মোবাইল কোর্ট নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ক প্রস্তাব সমর্থনযোগ্য: ড. জিয়া হায়দার

অনার্সও পাস না করেও জাল সনদে চাকরি

রংধনুটিভি ডেস্ক রির্পোট
  • আপডেট সময়: রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১৯০ টাইম ভিউ
অনার্সও পাস না করেও জাল সনদে চাকরি

বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার সরকারি নইম উদ্দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষিকা জান্নাতুল ফেরদৌস মিমের বিরুদ্ধে স্নাতকের জাল সনদে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে।বগুড়া জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রমজান আলী আকন্দ তদন্ত শেষে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন। রোববার বিকালে শিক্ষা কর্মকর্তা জানান, ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নিতে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বগুড়ার ধুনট পৌরসভার পশ্চিম ভরনশাহী গ্রামের হাবিবা সুলতানা জানান, গত ২০২৩ সালে ধুনট সরকারি নইম উদ্দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তফিজ উদ্দিন উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগে সার্কুলার দেন। তিনি ওই পদে আবেদন করেন। যোগ্যতা থাকার পরও চাকরি পাননি। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তফিজ উদ্দিন অনৈতিক সুবিধা নিয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস মিমকে চাকরি দেন। পরবর্তীতে তিনি খোঁজ করে জানতে পারেন, মিম স্নাতক (বিএসসি সম্মান) পাশের জাল সনদপত্র দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রতিকার পেতে তিনি গত ২০ জানুয়ারি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেন। শিক্ষা কর্মকর্তা রমজান আলী আকন্দ গত ৯ মার্চ থেকে তদন্ত শুরু করেন। তিনি মিমকে তার সব শিক্ষা সনদপত্রসহ ডেকে পাঠান। এরপর সনদপত্রগুলো শিক্ষা বোর্ড ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেরণ করেন। এসএসসি ও এইচএসসির সনদ সঠিক হলেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে তার বিএসসি সম্মানের (স্নাতক) সনদপত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি। বগুড়া জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রমজান আলী আকন্দ জানান, তদন্তে ধুনট সরকারি নইম উদ্দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষিকা জান্নাতুল ফেরদৌস মিমের স্নাতক পাশের সনদ জাল প্রমাণিত হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি (মিম) ডিগ্রি পাশ করেননি মর্মে স্বীকার করেন। এ কারণে তার বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নিতে প্রতিষ্ঠানের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে চিঠির মাধ্যমে নির্দেশ দিয়েছেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ জানান, খণ্ডকালীন শিক্ষিকা জান্নাতুল ফেরদৌস মিম তার স্নাতক সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে চাকরি নিয়েছিলেন।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 Breaking News
ESAITBD Sof-Lab UAE/BD