ময়মনসিংহের ত্রিশালে জমি নামজারি ও জমা খারিজ করে দেওয়ার কথা বলে এক প্রতারক দলিল লেখকের বাসায় ডেকে নিয়ে কমিশনে কৌশলে জমি দলিল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রতারনার স্বীকার ত্রিশালের রায়মনি গ্রামের সোহাগ মিয়া দাবি করেন একই গ্রামের সারোয়ার আলম তার কাছ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি জমাখারিজের কথা বলে সাফ কাওলা দলিলে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেন।
ত্রিশাল উপজেলা রায়মনি গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে সোহাগ মিয়া তার শেষ সম্বল ভিটামাটির ৫ শতাংশ জমির খারিজ ও নামজারি করার জন্য একই গ্রামের আব্দুল মান্নান ছেলে সারোয়ার আলম ও ইয়াকুব আলী ফকিরের ছেলে আরিফ মিয়া কে দায়িত্ব দেন।সোহাগ জানান গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার আমার স্ত্রী বেবি আক্তার,শালিকা শিমুলী আক্তার ও আমার শশুর কাইয়ুম মিয়া জমির খারিজের জন্য কয়েকটি কাগজে স্বাক্ষর করতে হবে বলে সারোয়ারের সাথে ত্রিশাল যাওয়ার জন্য চাপ দেয়।আমি তাদের সাথে ত্রিশাল গেলে সারোয়ার আমাকে দরিরামপুর এলাকায় জান্নাতুল ফেরদৌস দিদার সরকারের বাসায় নিয়ে যায় এবং সেখানে আমাকে খারিজের জন্য কয়েকটি স্বাক্ষর করতে বলে। আমি স্বাক্ষর দেওয়ার পর বুঝতে পারি এটা দলিল,এবং সেখানে সারোয়ার ও আমার স্ত্রী ছিল। আমি বিষয়টি জানতে চাইলে তারা আমাকে মারধর করে। প্রতারনার মাধ্যমে আমাকে দিয়ে দলিল করিয়ে নেওয়ায় আমি দলিল বাতিল ও দলিল লেখকের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ে ত্রিশাল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানান সোহাগ মিয়া।
ত্রিশাল সাব রেজিস্টার অফিস থেকে সোহাগ মিয়ার বাড়ি দ্রুত প্রায় ১০ কিলোমিটার হলেও সাব রেজিস্টার অফিস সংলগ্ন জান্নাতুল ফেরদৌস দিদার সরকারের বাসায় পিয়ন আতিকুর রহমানের মাধ্যমে কমিশনে দলিল হয়। ত্রিশাল থানার এস আই সবুজ মিয়া জানান,বিষয়টি সুরাহার জন্য আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে দলিল লেখক জান্নাতুল ফেরদৌস (দিদার) সরকারের সাথে যোগাযোগ করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
দলিল রেজিস্ট্রির সময় দায়িত্বরত সাব রেজিস্ট্রার মোঃ কামরুজ্জামান কবীর জানান,সোহাগ মিয়া যদি প্রমাণ করতে পারে তার জমি জোরপূর্বক দলিল করা হয়েছে তাহলে জমিন ফেরত দেওয়া হবে। বর্তমান দায়িত্বরত সাব রেজিস্ট্রার ওমর ফারুক জানান,আমি নতুন এসেছি বিষয়টি শুনেছি।