বিয়ের ১১ মাস পর বর জানতে পারলেন ঘরের স্ত্রী আয়েশা বেগম কাগজ-কলমে তার স্ত্রী না। কাবিন অনুযায়ী, আয়েশার বড় বোন সুরাইয়ার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তবে কবুল পড়েন আয়েশা। এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসালে শাকিলকে ডিভোর্স দেন বড় বোন সুরাইয়া।কারণ তিনি আগে থেকেই বিবাহিত এবং তার দুই সন্তানও রয়েছে। তিনিও জানতেন না, শাকিলের সঙ্গে কাবিননামায় তার বিয়ে হয়েছে। এমন ঘটনা ঘটেছে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নে।
বর শাকিল জানান, আয়েশাকে বিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। তার বদলে বিবাহ সম্পন্ন হয় সুরাইয়ার সঙ্গে। সে সম্পর্কে আমরা জেঠস। তবে ঘর-সংসার করেছি আয়েশার সঙ্গে। আয়েশা আমার সংসার ছেড়ে চলে গেছে। এখন সুরাইয়া আমাকে তালাকনামা পাঠিয়েছেন। ওরা ইচ্ছাকৃতভাবে জালিয়াতি করেছেন। পরিবারসহ আমারা মানসম্মান নষ্ট হয়েছে। সেই সঙ্গে আমি আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। আমি এর বিচার চাই।
শাকিলের বাবা জয়নাল জানান, বিবাহের সময় কাজীকে যে জন্মনিবন্ধন দেওয়া হয়েছে ওনি তা দেখেই লিখেছেন। আমি ছেলের বউকে তার বাড়ি থেকে কয়েকবার আনতে গেলেও তারা দেয়নি। পরে কাবিননামা তুলে দেখে ছেলের বউয়ের নাম সুরাইয়া লেখা আছে।
মেয়ের মা বিবি হাজেরা বলেন, কাবিনে সুরাইয়া নাম লেখা হয়েছে। যে কাবিননাম করেছেন তার কারণে এ সমস্যা তৈরি হয়েছে।
আয়েশার বড় বোন সুরাইয়া বলেন, আমার সংসারে দুই সন্তান আছে। কাবিন আয়েশার নামে করার কথা থাকলেও তা আমার নামে করা হয়েছে। কাজীর কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
মেয়ের মা এবং কাজী পরস্পরের ওপর দোষ চাপালেও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিয়ের সময় আয়েশার বয়স ১৮ না হওয়ায় কাজীর পরামর্শে বড় মেয়ে সুরাইয়ার জন্মনিবন্ধন দিয়ে ছোট মেয়ের বিয়ে পড়ানো হয়েছে। এতে সায় ছিল পরিবারেরও।
ভুল কিংবা ইচ্ছাকৃত যাই হোক না কেন, এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মেয়ের পরিবারের কারণে। যদিও মেয়ের পরিবার সেটা স্বীকার না করে দোষ চাপাতে চায় কাজীর ঘাড়ে। আর কাজীর বক্তব্য হলো, তাকে যা লিখতে বলা হয়েছে, তিনি তাই লিখেছেন। এখানে তার কোনো দোষ নেই।