মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:০০ পূর্বাহ্ন

ভোলায় ঘূর্ণিঝড় রিমালের তান্ডবে ছিন্ন-ভিন্ন এলাকা,জনজীবন বিপর্যস্ত, মানবেতর জীবন

রির্পোটারের নাম
  • প্রকাশ: রবিবার, ২ জুন, ২০২৪
  • ১৩৯ দেখা হয়েছে :

এইচ এম হাছনাইন, ভোলা প্রতিনিধি

ঘূর্ণিঝড় রিমাল ভোলা জেলার উপর দিয়ে যে তান্ডব লীলা চালিয়ে গেছে তার প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে তজুমদ্দিন,মনপুরা ও চরফ্যাশন উপজেলা। পার্শ্ববর্তী অন্যান্য উপজেলাগুলোতে ব্যাপক আকারে ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি। এই ঝড়ে গাছ চাঁপা, পানিতে ডুবে এবং সাপের কামড়ে অন্তত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। দুমরে-মুচরে গেছে বাড়ী-ঘর, বিলিন হয়ে গেছে বসত ভিটা। নিঃস্ব হয়ে খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন সেখানকার মানুষগুলো। এখনও ঘূর্ণিঝড় রিমালের ক্ষত বিরাজ করছে ওইসব এলাকায়। ঝড়ের তান্ডবের পর এখন তাদের একটাই চিন্তা কিভাবে ঘরে দাঁড়ানো যায়। শুধু মানবকূলেই ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি, ক্ষতি হয়েছে রাস্তা-ঘাট, কৃষি, মৎস্য, প্রাণী, বিদ্যুৎ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় উপাসানালয়, নদী তরীবর্তী এলাকা, বেড়ী বাঁধ, জেলে।
ভোলা জেলায় কি পরিমানে ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে তা নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
বাড়ী-ঘর : আধাপাকা বাড়ী আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২০৫টি, সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৭টি। কাঁচা বাড়ী আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৭ হাজার ৯শ’ ১টি এবং সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২ হাজার ৮শ’ ৯৪টি। যার সর্বমোট ক্ষতির মূল্য ৪৭ কোটি ৮৭ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।
কৃষি শষ্য : শস্য ক্ষেত আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৮ হাজার ৩শ ৮২ হেক্টর, যার মূল্য ২৭ কোটি ২৭ লাখ ৬৩ হাজার ৫শ’ টাকা। সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১১ হাজার ৪শ’ ১টি, যার মূল্য ৯৯ কোটি ৬৯ লাখ ৯ হাজার টাকা। অন্যদিকে আংশিক বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬শ’ ৪৬ দশমিক ৭৫ হেক্টর, যার মূল্য ১ কোটি ৮৯ লাখ ৫ হাজার টাকা। সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪০ হেক্টর, যার মূল্য ১২ লাখ টাকা। এছাড়াও হ্যাচারী, মৎস্য, চিংড়ি, ঘের, মৎস্য বিচরণ এলাকার ১ হাজার ২৫ দশমিক ৪৬ হেক্টর, যার মূল্য ১৪ কেটি ২৭ লাখ ৩৭ হাজার ৮শ’ টাকা।
প্রাণী : মৃত ও ভেসে যাওয়া ভেড়ার সংখ্যা ১শ’ ৭০টি, যার মূল্য ১৬ লাখ ৪৬ হাজার। এছাড়া ছাগলের সংখ্যা ৯২টি, যার মূল্য ১০ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। অন্যদিকে মৃত ও ভেসে যাওয়া গরুর সংখ্যা ৯৫টি, যার মূল্য ৬৫ লাখ টাকা এবং মহিষের সংখ্যা ১শ’ ৬২টি, যার মূল্য ১ কোটি ৯৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। হাঁসের সংখ্যা ৫ হাজার ৩০টি, যার মূল্য ৩২ লাখ ২৬ হাজার ৪শ’ টাকা। মুরগি ১০ হাজার ৬শ ৪১টি, যার মূল্য ৪৯ লাখ ৪৫ হাজার ৭শ’ ৫০ টাকা।
বিদ্যুৎ ও উপসানালয় : বিদ্যুৎ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১ হাজার ২শ’ ৫৩ দশমিক ৮০ কিলোমিটার, যার মূল্য ২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১ কিলোমিটার, যার মূল্য ৫ লাখ টাকা। অন্যদিকে আংশিক মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫৩টি, যার মূল্য ২৫ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬টি, যার মূল্য ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আংশিক মন্দির ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৭টি, যার মূল্য ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান : ঘূর্ণিঝড়ে ভোলা জেলায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কলেজ, মাদরাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩০টি প্রতিষ্ঠান, যার মূল্য ৪৪ লাখ টাকা। মাধ্যমিক স্তরে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২টি প্রতিষ্ঠান, যার মূল্য ১০ লাখ টাকা। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫৪টি প্রতিষ্ঠান, যার মূল্য ৯৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। কলেজ স্তরে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪টি প্রতিষ্ঠান, যার মূল্য ২০ লাখ টাকা। মাদরাসা স্তরে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫টি প্রতিষ্ঠান, যার মূল্য ২৫ লাখ টাকা। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২১টি প্রতিষ্ঠান, যার মূল্য ৪১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া অন্যান্য কমিউনিটি স্কুল আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩টি, যার মূল্য ১লাখ ৫০ হাজার টাকা।
নলকূপ ও টয়লেট : ঝড়ে ভোলার বিভিন্ন এলাকায় যে নলকূপগুলো রয়েছে সেগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মধ্যে গভীর নলকূপ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪শ ৫২টি, ৪৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। অগভীর নলকূপ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫০টি, যার মূল্য ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা (টয়লেট) সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫০টি, যার মূল্য ১০ লাখ টাকা। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩ হাজার ৪শ’ ২১টি, যার মূল্য ৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৭শ’ ৭৮টি, যার মূল্য ১ কোটি ৫৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
মৎস্য ও জেলে : ভোলা জেলায় বিপুল পরিমানের জনগোষ্ঠী মৎস্য আহরণের সাথে জড়িত। ঘূীর্ণজড় রেমালে এ পেশায় যার জড়িত রয়েছেন তাদেরও ব্যাপক ক্ষতি সাধতি হয়েছে। যার মধ্যে নৌকা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪০টি, যার মূল্য ২০ লাখ টাকা। ট্রলার সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২০টি, যার মূল্য ১২ কোটি টাকা। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪৮টি, যার মূল্য ৯ কোটি ৬০ হাজার টাকা। জেলেদের জাল সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২০টি, যার মূল্য ১৬ লাখ টাকা। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩০টি, যার মূল্য ৯ লাখ টাকা।
নদী ও উপকূল : দ্বীপজেলা ভোলার চারদিকেই নদী। ঘূর্ণিঝড় রেমালে ভোলার নদী তীরবর্তী উপকূলে আঘাত হানে। এতে উপকূলের অনেক স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মনপুরা ও চরফ্যাশন উপজেলা। এতে ৮ দশমিক ২০ কিলোমিটার নদী আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মূল্য ১ কোটি ৭৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা। উপকূল অঞ্চল সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার, যার মূল্য ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৭ কিলোমিটার, যার মূল্য ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। বনাঞ্চল আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১ হাজার ৯শ’ দশমিক ১০ হেক্টর, যার মূল্য ১ কোটি ৫৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা। বনায়ন আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১ হাজার ১শ’ হেক্টর, যার মূল্য ১ কোটি ৭৮ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। নার্সারী আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪ দশমিক ৪ হেক্টর, যার মূল্য ৯ লাখ ২০ হাজার টাকা। এ তথ্যগুলো পাওয়া গেছে জেলা প্রশাসক স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদন থেকে।
অন্যদিকে জেলা প্রশাসক ছাড়াও কৃষি, মৎস্য, প্রাণী অধিদপ্তর এবং সড়ক ও জনপদ বিভাগ থেকে ভিন্ন তথ্য এসেছে। ভোলায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে শুধু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়নি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ২২ হাজার ৩শ’ ৭৭ হেক্টর জমির আউশ বীজতলা, আউশ আবাদ, গ্রীষ্মকালীন শাক-সবজি, পান, কলা, পেপে, আখ ও আম। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। একদিকে জোয়ারের পানি অন্যদিকে জলোচ্ছ্বাস আর প্রবল বাতাসে এসব ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষককরা। কষ্টার্জিত ফসল হারিয়ে তারা এখন নিঃস্ব হবার পথে। তাদের চোখে-মুখে শুধু কিভাগে ঘুরে দাঁড়ানো যায় সেই চিন্তা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ভোলার উপ-পরিচালক ওয়ারিসুল কবীর ভোলার বাণী’কে জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালের তান্ডবে ভোলায় প্রান্তিক, ক্ষুদ্র, মাঝারী ও বড় ৭শ’ ৭৪ কৃষক পরিবারের ৪ হাাজর ৩শ হেক্টর জমির আউশের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার ফলে ক্ষতির পরিমাণ ১২ কোটি ৯০ লাখ টাকা। আউশ আবাদে ৬শ’ কৃষক পরিবারের ৫ হাজার হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার পরিমান ১ কোটি টাকা। গ্রীষ্মকালীন শাক-সবজিতে ১০ হাজার ৩শ’ ৫৬ কৃষক পরিবারের ১০ হাজার ৭শ’ ৯১ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার পরিমান ৩১ কোটি ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা। পান চাষে ২শ’ ২৮ কৃষক পরিবারের ৫শ’ ৩৬ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার পরিমান ৯১ লাখ ২০ হাজার টাকা। কলা চাষে ১শ’ ৬২ কৃষক পরিবারের ৪শ’ ৫০ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার পরিমান ৬৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। পেপে চাষে ২” ১৬ কৃষক পরিবারের ৩শ’ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার পরিমান ১ কোটি ৮০ হাজার টাকা। আম চাষে ১শ’ ২১ কৃষক পরিবারের ৪শ’ ৫০ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার পরিমান ৩২ লাখ টাকা। আখ চাষে ৫০ কৃষক পরিবারের ৫শ’ ৫০ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার পরিমান ৬৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। সর্বমোট ভোলায় ১২ হাজার ৫শ’ ৭ জন কৃষক পরিবারের ২২ হাজার ৩শ’ ৭৭ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার পরিমান ৪৮ কোটি ৫২ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের তান্ডবে ভোলায় মৎস্য খাতেও ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। ভোলা জেলার সকল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে ছোট-বড় মৎস্য খামার। এতে ওই খামারগুলো থেকে মাছের রেনু, পোনা, রুই, কাতলা, মৃগেল, পাঙ্গাস, আইড়, চিতল, মিনার কার্প, চাইনিজ পুটি, তেলাপিয়া, কোরালসহ বিভিন্ন জাতের মাছ ভেসে গেছে। কোটি কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন চাষীরা।
* ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১১ হাজার ছোট-বড় আধাপাকা, কাঁচা ঘর-বাড়ী।
* ২২ হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত।
* পানিতে ভেসে গেছে ৯ হাজার ৯শ’ ২৮টি পুকুর ও ১ হাজার ৪শ’ ৩৯টি ঘের।
* পাকা-কাঁচা সম্পূর্ণ ও আংশিকসহ ২শ’ ৭০ কিলোমিটার রাস্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
* ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৩শ’ ৭৫ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ২৩ লাখ টাকা বরাদ্দ এবং ১ হাজার ৫শ’ শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব ভোলার বাণী’কে জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালের তান্ডবে ভোলা জেলায় ৯ হাজার ৯শ’ ২৮টি পুকুর ভেসে গেছে। যার আয়তন ১ হাজার ২৫ হেক্টর। ভেসে যাওয়া ঘেরের সংখ্যা ১ হাজার ৪শ’ ৩৯টি। যার আয়তন ১শ’ ৯৭ হেক্টর। এতে ৭শ’ ৫৬ মেট্রিক টন মাছ ভেসে গেছে। ফলে ১ হাজার ২শ’ ৬৯ লক্ষ টাকা। এছাড়া ঘেরগুলোর যে অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে তার পরিমান দেড় থেকে ২ কোটি টাকা।
তিনি আরো বলেন, ভোলা জেলায় যে সকল চাষীরা চিংড়ি মাছ চাষ করেছেন তাদের ১১ দশমিক ৬ মেট্রিক টন মাছ ভেসে গেছে। ফলে ১শ’ ৭ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে ভোলা জেলায় যে সকল জেলে রয়েছে তাদের মধ্যে ১৮০টি নৌকা এবং তাদের ২শ’ ১৯টি জাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত চাষী ও জেলেদের বিভিন্নভাবে টেকনিক্যাল সাপোর্ট ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। যাতে করে এই দুর্ভোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে পারে। আমরা আশা করছি তারা এ সমস্যা সমাধান করতে পারবে। পাশাপাশি সরকারের পক্ষ থেকে জেলেদের জন্য প্রনোদনা, বিভিন্ন মেয়াদী ভিজিএফ চাল দেয়া হয়, জাটকার চাল সেগুলো আমরা অব্যাহত রেখেছি। পাশাপাশি যে সকল চাষীরা রয়েছেন তাদেরকেও আমরা বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। তারাও এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাবে বলে আশা করছি। আমরা জেলা এবং মৎস্য অধিদপ্তরকে ক্ষয়-ক্ষতির তথ্য দিয়েছি।

জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম খান ভোলার বাণী’কে জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমাল-এ অন্যান্য বিভাগের ন্যায় প্রাণী সম্পদেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভোলা সদর উপজেলায় ৯শ’টি গরু, ৯শ’ ৯০টি মহিষ, ৫শ’ ৫০টি ছাগল, ৪শ’ ২০টি ভেড়া, ৬ হাজার ৬০টি মুরগি, ১ হাজার ৭শ’ ৩০টি হাঁস আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ৯টি গরু, ১০টি মহিষ, ৫০টি ভেড়া, ৪ হাজার ৬৫টি মুরগি, ৪৫টি হাঁস। প্লাবিত হয়েছে ২শ’ টি চারন ভূমি ও ঘাসের প্লট।

দৌলতখান উপজেলায় ৬শ’ ৯টি গরু, ৮শ’ ৬১টি মহিষ, ১ হাজার ২শ’ ৯০টি ছাগল, ১শ’ ১৬টি ভেড়া, ৩ হাজার ১শ’ ২৫টি মুরগি, ১ হাজার ২শ’ ২৬টি হাঁস আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ৪টি ছাগল, ৪টি ভেড়া, ৮০টি মুরগি, ৪৪টি হাঁস। প্লাবিত হয়েছে ১শ’ ২টি চারন ভূমি।

বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ৩শ’ ৬৭টি গরু, ৫শ’ ৬২টি মহিষ, ২শ’ ৯৭টি ছাগল, ২শ’ ৫৫টি ভেড়া, ১ হাজার ৬ ১০টি মুরগি, ৭শ’ হাঁস আক্রান্ত হয়েছে। মারা ৮৪টি মুরগি, ৭৫টি হাঁস। প্লাবিত হয়েছে ১শ’ ৭৯টি চারন ভূমি।

তজুমদ্দিন উপজেলায় ৩শ’ ৬২টি গরু, ৫শ’ ৪০টি মহিষ, ৩শ’ ১১টি ছাগল, ৮শ’ ৬টি ভেড়া, ২ হাজার ৭শ’ ৫৬টি মুরগি, ১ হাজার ৮শ’ ৫৮টি হাঁস আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ৫০টি মুরগি, ৭৪টি হাঁস। প্লাবিত হয়েছে ৩৫টি চারন ভূমি।

লালমোহন উপজেলায় ৭শ’ ৫টি গরু, ১ হাজার ৫০টি মহিষ, ১ হাজার ৭শ’ ২৫টি ছাগল, ১শ’ ১১টি ভেড়া, ৩ হাজার ৩শ’ ৯০টি মুরগি, ১ হাজার ৪শ’ ৩১টি হাঁস আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ২শ’ ৫টি মুরগি, ৭৪টি হাঁস। প্লাবিত হয়েছে ৭৫টি চারন ভূমি।

চরফ্যাশন উপজেলায় ১ হাজার ২শ’ ৪১টি গরু, ১ হাজার ৫শ’ ৩৭টি মহিষ, ৫শ’ ৯২টি ছাগল, ৫শ’ ৫৮টি ভেড়া, ৮ হাজার ২শ’ ৫০টি মুরগি, ৬ হাজার ৩শ’ ৫১টি হাঁস আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ১শ’ ২২টি গরু, ২শ’ ১টি মহিষ, ১শ’ ১৩টি ছাগল, ২শ’ ৮টি ভেড়া, ৩ হাজার ৭শ’ ১১টি মুরগি, ৩ হাজার ৬শ’ ৪২টি হাঁস। প্লাবিত হয়েছে ৫শ’ ৫৮টি চারন ভূমি।
মনপুরা উপজেলায় ৭শ’ ৫০টি গরু, ৯শ’ ৪০টি মহিষ, ৮শ’ ৯১টি ছাগল, ৪শ’ ভেড়া, ৪ হাজার ৭শ’ ৪০টি মুরগি, ১ হাজার ৯শ’ ৪টি হাঁস আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ৫৩টি গরু, ৭০টি মহিষ, ৩৫টি ছাগল, ১৯টি ভেড়া, ১ হাজার ৬শ’ ৯৫টি মুরগি, ১ হাজার ৩শ’ ৬৮টি ৪৫টি হাঁস। প্লাবিত হয়েছে ৯শ’ ৯২টি চারন ভূমি। এছাড়া মনপুরা উপজেলায় প্রাণী সম্পদ অফিসের বৈদ্যুতিক সংযোগও বিচ্ছন্ন হয়েছে।

অপরদিকে ভোলা সদর উপজেলায় ১২টি খামারের ৮৭টি গবাদী পশু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মূল্য ১লাখ ৮০ হাজার টাকা। ২২টি হাঁস-মুরগির খারের মধ্যে ৫ হাজার ১শ’ টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মূল্য ১ লাখ ৬০ হাজার। পশু-পাখির দানাদার খাদ্য নষ্ট হয়েছে ৩৭ টন, যার মূল্য ১৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। খড় নষ্ট হয়েছে ৪০ টন, যার মূল্য ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ঘাস নষ্ট হয়েছে ৫০ টন, যার মূল্য ২৭ হাজার টাকা। মৃত ও নিখোঁজ পশু-পাশির মূল্য ৩৯ লাখ ১০ হাজার টাকা। সর্বমোট ৬২ লাখ ৯০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ৪শ’ ৫টি গবাদী পশু ও ১৬ হাজার ১শ’ ২৫টি হাঁস-মুরগিকে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।

দৌলতখান উপজেলায় ২টি খামারের ১৩টি গবাদী পশু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মূল্য ৩৯ হাজার টাকা। ২টি হাঁস-মুরগির খারের মধ্যে ২শ’ ৩০ টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মূল্য ৩ হাজার ১শ’ ৫০টাকা। পশু-পাখির দানাদার খাদ্য নষ্ট হয়েছে ১ টন, যার মূল্য ৬০ হাজার টাকা। খড় নষ্ট হয়েছে ২০ টন, যার মূল্য ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। ঘাস নষ্ট হয়েছে ৩০ টন, যার মূল্য ২ লাখ ১০ হাজার টাকা। মৃত ও নিখোঁজ পশু-পাশির মূল্য ১ লাখ ১৪ হাজার ৪শ’ টাকা। সর্বমোট ৫ লাখ ৬৬ হাজার ৫শ’ টাকা ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ৩শ’ গবাদী পশু ও ২ হাজার ৩শ’ ৭০টি হাঁস-মুরগিকে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।
বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ৬টি খামারের ৩০টি গবাদী পশু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মূল্য ৯০ হাজার টাকা। ১১টি হাঁস-মুরগির খারের মধ্যে ৩ হাজার ৬শ’ টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মূল্য ১ লাখ ২০ হাজার। পশু-পাখির দানাদার খাদ্য নষ্ট হয়েছে ২ টন, যার মূল্য ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। খড় নষ্ট হয়েছে ১৬ টন, যার মূল্য ৭৫ হাজার টাকা। ঘাস নষ্ট হয়েছে ২১ টন, যার মূল্য ৬৩ হাজার টাকা। মৃত ও নিখোঁজ পশু-পাশির মূল্য ৭৯ হাজার ৫শ’ টাকা। সর্বমোট ৬২ লাখ ৪৭ হাজার ৫শ’ টাকা ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ৩শ’ টি গবাদী পশু ও ২ হাজার ৬শ’ ২৫টি হাঁস-মুরগিকে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।

তজুমদ্দিন উপজেলায় পশু-পাখির দানাদার খাদ্য নষ্ট হয়েছে ১০ টন, যার মূল্য ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। খড় নষ্ট হয়েছে ২১ টন, যার মূল্য ১ লাখ ৫ হাজার টাকা। ঘাস নষ্ট হয়েছে ৬০ টন, যার মূল্য ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। মৃত ও নিখোঁজ পশু-পাশির মূল্য ৪৯ হাজার ৬শ’ টাকা। সর্বমোট ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৬শ’ টাকা ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ২শ’ ৩২টি গবাদী পশু ও ৯শ’ ৭৩টি হাঁস-মুরগিকে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।
লালমোহন উপজেলায় পশু-পাখির দানাদার খাদ্য নষ্ট হয়েছে ৩ টন, যার মূল্য ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। খড় নষ্ট হয়েছে ২৮ টন, যার মূল্য ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। ঘাস নষ্ট হয়েছে ৬৫ টন, যার মূল্য ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। মৃত ও নিখোঁজ পশু-পাশির মূল্য ১ লাখ ১১ হাজার ৬শ’ টাকা। সর্বমোট ৭ লাখ ৫৬ হাজার ৬শ’ টাকা ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ৬শ’ ৭৫টি গবাদী পশু ও ২ হাজার ৬শ’ ৫০টি হাঁস-মুরগিকে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।
চরফ্যাশন উপজেলায় ৫টি খামারের ৪শ’ ৪৫টি গবাদী পশু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মূল্য ২২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। ৩৩টি হাঁস-মুরগির খারের মধ্যে ৮ হাজার ২শ’ ৫৭টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মূল্য ২ লাখ ২৭ হাজার। পশু-পাখির দানাদার খাদ্য নষ্ট হয়েছে ১১ টন, যার মূল্য ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। খড় নষ্ট হয়েছে ৭৭ টন, যার মূল্য ৩ লাখ ৫২ হাজার টাকা। ঘাস নষ্ট হয়েছে ১শ’ ৭ টন, যার মূল্য ২ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। মৃত ও নিখোঁজ পশু-পাশির মূল্য ৪ কোটি ৩১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। সর্বমোট ৪ কোটি ৬৬ লাখ ৪৪ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ২ হাজার ৭৬টি গবাদী পশু ও ৯ হাজার ৯শ’ ৭১টি হাঁস-মুরগিকে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।
মনপুরা উপজেলায় ৮টি খামারের ৫৫টি গবাদী পশু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মূল্য ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। ১২টি হাঁস-মুরগির খারের মধ্যে ৮ হাজার ৪শ’ টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মূল্য ১ লাখ ৬৫ হাজার। পশু-পাখির দানাদার খাদ্য নষ্ট হয়েছে ৪ টন, যার মূল্য ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। খড় নষ্ট হয়েছে ১শ’ ৮০ টন, যার মূল্য ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ঘাস নষ্ট হয়েছে ৪শ’ ২০ টন, যার মূল্য ১৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। মৃত ও নিখোঁজ পশু-পাশির মূল্য ১ কোটি ৫২ লাখ ১৫ হাজার ২শ’ টাকা। সর্বমোট ১ কোটি ৯০ লাখ ৪৫ হাজার ২শ’ টাকা ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ১ হাজার ২শ’ ৩৮টি গবাদী পশু ও ৫ হাজার ৪শ’ ২৫টি হাঁস-মুরগিকে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।
ভোলা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হোসেন ভোলার বাণী’কে বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের তন্ডবে ভোলা জেলায় ৩০ কিলোমিটার রাস্তার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৮ কিলোমিটার। সকল তথ্য সংগ্রহ করে আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সেখান থেকে নির্দেশনা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া ভোলা জেলায় এমন কোন ক্ষতিগ্রস্তের তথ্য পাইনি যেখানে রাস্তা সম্পূর্ণ ভেঙ্গে গেছে, যার কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছে।
এলজিইডি’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম ভোলার বাণী’কে জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ভোলা জেলায় পাকা রাস্তা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬৬ কিলোমিটার, যার মূল্য ৩৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১শ’ ২৭ কিলোমিটার, যার মূল্য ৫৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। খোয়া সংযুক্ত ইটের রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪ কিলোমিটার, যার মূল্য ৮ লাখ টাকা। কাঁচা রাস্তা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫ কিলোমিটার, যার মূল্য ৭৫ লাখ টাকা। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩০ কিলোমিটার, যার মূল্য ৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
তিনি আরো বলেন, এ ঝড়ের প্রভাবে ৩টি ব্রীজ সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মূল্য ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫টি ব্রীজ, যার মূল্য ৪ কোটি টাকা। এছাড়া কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২৫টি, যার মূল্য ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডে-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী হাসানুজ্জামান জানান, ভোলা জেলায় মেঘনা-তেঁতুলিয়া মিলিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩শ’ ৫২ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দুই নদীর পাড়ে প্রায় ১০ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যেই অংশ বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানে সংস্কার কাজ শুরু করে দিয়েছি, যাতে করে আগামী আমাবশ্যার জো-তে পানি প্রবেশ করতে না পারে। আর বাকি অংশগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মেরামত করা হবে।
ভোলার জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের তান্ডবে ভোলা জেলায় যে পরিমাণে ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে তার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৩শ’ ৭৫ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ২৩ লাখ টাকা বরাদ্দ এবং ১ হাজার ৫শ’ শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category



© All rights reserved ©  রংধনুটিভি ২০২৪
ESA IT BD Software Lab Trishal