ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্নাতক ডিগ্রির বিস্তারিত তথ্য প্রকাশের কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের (সিআইসি) নির্দেশকে উচ্চ আদালত বাতিল করেছে। সোমবার (২৫ আগস্ট) দেশটির উচ্চ আদালত এই নির্দেশ বাতিলের রায় প্রদান করেন। সূত্র জানায়, নীরজ নামের এক ব্যক্তি তথ্য অধিকার আইনের (আরটিআই) মাধ্যমে মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য জানতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন। ২০১৬ সালে সিআইসি জানায়, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৮ সালে ব্যাচেলর অব আর্টস (বিএ) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের রেকর্ড দেখা যাবে। মোদি সেই বছর বিএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। সিআইসির নির্দেশের বিরুদ্ধে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় আদালতে পিটিশন দায়ের করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে যুক্তি দেওয়া হয়, শিক্ষার্থীদের রেকর্ড নৈতিক দায়িত্বের আওতায় সংরক্ষিত থাকে এবং বৃহত্তর জনস্বার্থ না থাকলে তথ্য অধিকার আইনে তা সম্ভব নয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন কি না, তা রহস্যাবৃতই রইল। দিল্লি হাইকোর্ট গতকাল সোমবার এ-সংক্রান্ত এক মামলার রায়ে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর স্নাতকের ডিগ্রি প্রকাশে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় বাধ্য নয়। তাছাড়া সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি নেত্রী স্মৃতি ইরানির শিক্ষাগত যোগ্যতা ঘিরে ওঠা প্রশ্নটিও রহস্যাবৃত রইল। দিল্লি হাইকোর্টের যে বিচারপতি মোদি মামলার রায় শোনান, সেই বিচারপতি সচিন দত্ত গতকাল জানান, ইরানির দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফল প্রকাশ করাও বাধ্যতামূলক নয়।