রামগড়-বারৈয়ারহাট প্রধান সড়ক এখন যেন এক মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন এই সড়কে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ছেন পথচারী ও যাত্রীরা। পুরো সড়কজুড়ে গর্ত, উঁচু-নিচু ভাঙাচোরা পিচ, আর পানি জমে থাকা অসংখ্য জায়গা যা স্বাভাবিক যানচলাচলকে করে তুলেছে দুর্বিষহ।
এই সড়কটি খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলা শহরকে যুক্ত করেছে চট্টগ্রামের বারৈয়ারহাটের সঙ্গে। এটি শুধু একটি আঞ্চলিক নয়, বরং ব্যবসা-বাণিজ্য, চিকিৎসা ও শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ পথ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেই। মাঝে মাঝে সামান্য খোঁড়াখুঁড়ি হলেও তা কিছুদিন পরই আরও ভয়াবহ অবস্থায় পরিণত হয়। বৃষ্টির সময় এই দুরবস্থা চরমে ওঠে। সড়কের গর্তগুলো তখন পানিতে ঢাকা পড়ে গিয়ে চালকদের জন্য মরণফাঁদে রূপ নেয়।
সম্প্রতি একাধিক দুর্ঘটনার ঘটনাও ঘটেছে এই সড়কে। কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “এই রাস্তায় প্রায়ই মোটরসাইকেল উল্টে পড়ে, ছোট গাড়ি গর্তে পড়ে গিয়ে যাত্রী আহত হয়। কিছুদিন আগেই এক পথচারীর মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা শুনেছি।”
স্থানীয়রা রামগড় সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। তাঁরা বলছেন, বছরের পর বছর ধরে এই সড়কের উন্নয়ন কার্যক্রমে কোনো নজর দেওয়া হয়নি। অথচ এটি একটি উপজেলা সদরের প্রধান সংযোগ সড়ক।
রামগড় উপজেলা বিএনপির এক নেতা বলেন, “এই রাস্তায় যে কেউ যেকোনো সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। সড়কের এমন অবস্থা কোনো সভ্য সমাজে কল্পনাও করা যায় না। সড়ক ও জনপদ বিভাগের অবহেলা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।”বিগত কয়েকদিন আগে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি ওয়াদুদ ভুইয়ার নির্দেশনায় আমরা কিছুটা রাস্তা সংস্কার করেছি আমাদের বিএনপি পরিবারের উদ্যোগে।
স্থানীয়রা দ্রুত সড়কটি পূর্ণ সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এবং সেই সঙ্গে সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।