মোঃ গোলাপ মিয়া ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী সরকারী কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ এনে বিভিন্ন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ছাত্র/ছাত্রী অভিবাবক মহল সামাজিক ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে অস্তিত্ব বিহীন ছাত্র/ ছাত্রীদের নাম ব্যবহার করে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন পরবর্তীতে ছত্র/ছাত্রীদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও তথ্য প্রযুক্তি) নুরে তাসনিমকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছেন জেলা প্রশাসক, পরবর্তীতে খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারে অভিযোগ কারী ছাত্র/ ছাত্রীদের উক্ত প্রতিষ্ঠানে কোন অস্তিত্ব নেই। প্রতিষ্ঠানের সাথে কোন সংশ্লিষ্টতা নেই । ভুয়া অভিযোগকারীদের সনাক্ত করতে না পারায় কলেজের ছাত্র/ছাত্রীরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে বিষয়টি উপস্থাপন করেন।জেলা প্রশাসক মহোদয় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি একটি ষড়যন্ত্র আভাস পেয়ে তদন্তের কার্যক্রম স্থগিত করে দেয়। একই কায়দা আরো একটি মিথ্যা অভিযোগ আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরের দাখিল করেন আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর-ই-আলম সিদ্দিকী একই অভিযোগে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করলেও অভিযোগ কারী অস্তিত্ব না থাকায় মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বিষয়টি জানতে পেরে তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত করে দেয়। এইভাবে একের পর এক অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র হয়রানি মুলক সংবাদ ও অভিযোগ দায়ের করায় ক্ষিপ্ত সচেতন মহল । পরবর্তীতে আরও একটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দায়ের করলে শিক্ষক-কর্মচারী দিয়ে। সেই অভিযোগ কলেজের প্রভাষক ছাত্র/ছাত্রী ও সচেতন মহল যৌথভাবে প্রতিরোধ করেন। সরেজমিনে জানা গেছে, আদিতমারী সরকারী কলেজটি ৮ আগষ্ট ২০১৮ ইং তারিখে সরকারিকরণ করা হয়েছে। সরকারিকরণের পরপরেই অধ্যক্ষ শিক্ষক /কর্মচারী ম্যানেজিং কমিটির সহায়তায় সুনামের সাথে কলেজটি পরিচালনাকরেআসছে।কয়েকজন সুবিধাভোগী শিক্ষক-কর্মচারী অধ্যক্ষ মহোদয় কে সামাজিক ভাবে হেও প্রতিপন্ন করতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে আসছে । কলেজের অধ্যক্ষ ও বিভিন্ন শিক্ষক-শিক্ষিকা ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বললে জানা যায় একটি মহল অধ্যক্ষ স্যারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে। ৫ই আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে বিভিন্নভাবে হয়রানিমূলক কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়ে একটি মহল নিজের স্বার্থ হাসিল করতে বিভিন্ন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ করে আসছে। বিভিন্ন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত করেছে প্রতিষ্ঠানে একটি টসর্চার সেল রয়েছে সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা ভিত্তিহীন একটি কাল্পনিক তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটি সর্বদা সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা দায়িত্বশীল সভাপতি নির্বাচিত হয়ে থাকেন। সুনামধন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানটি বিরুদ্ধে মিথ্যা ভিত্তিন সংবাদ পরিবেশন না করার জন্য সকল সংবাদ কর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষক। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রভাষক সহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দেয়া হয়ে থাকে কোনো প্রকার ক্ষমতা অপব্যবহার করা হয় না এবং বেতন কর্তন ও আটক রাখার মত কোন ঘটনা ঘটেনি, উক্ত প্রতিষ্ঠানে কখনো কারো উপর অন্যায় অবিচার করা হয়নি। সকলের সম্মিলিত ভাবে ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে কলেজটি পরিচালনা করা হচ্ছে । কলেজের অধ্যক্ষ আজিজুর রহমান বলেন শিক্ষকদের চাকরিচ্যুত করার হুমকি কখনো দেওয়া হয়নি আমার বিরুদ্ধে মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।কলেজে অধ্যক্ষ,অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, সহ একাধিক প্রভাষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতি উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে একান্ত সংবাদ কর্মীর মনগড়া লেখা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করে সামাজিকভাবে অধ্যক্ষ স্যারের হেও প্রতিপন্ন করতে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানে কোন প্রকার গাছ কর্তন করা হয়নি কলেজে সরকারি ভবন নির্মাণের নির্ধারিত স্থান হতে কাজ করার সময় দুই একটি গাছ সরিয়ে ভবন নির্মাণ করা হয়েছে সেগুলো দিয়ে বেঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে । শুরু থেকে কলেজটি নির্মাণ করে দীর্ঘদিন স্বেচ্ছায় শ্রম দিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্র/ ছাত্রী কালেকশন ভর্তি করেছেন দীর্ঘ এক যুগ পরে কলেজ টি এমপিওভুক্ত হয়েছে ।পরবর্তীতে সরকারি করণ করতে সক্ষম হয়েছে অধ্যক্ষ আজিজুর রহমান ।অধ্যক্ষ আজিজুর রহমান পূর্ব পুরুষ এলাকার বিত্তবান ও ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান নিজের অর্থায়নে শহীদ শামসুল ইসলাম সুরুজের সহযোগিতা প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম শুরু করেন এবং লালমনিরহাট জেলার মধ্যে একটি শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠা হিসাবে রূপান্তর করতে সক্ষম হয়েছে এবং ফলাফলের দিক থেকে এগিয়ে যাওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তির হিড়িক পড়েছে আদিতমারী ডিগ্রী কলেজ। বিভিন্ন সরকারি সহায়তা নিয়ে সর্বশেষ আদিতমারী সরকারি কলেজ রূপে রূপান্তর করতে সক্ষম করেছে অধ্যক্ষ আজিজুর রহমান, প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শহীদ শামসুল ইসলাম সুরুজ । সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বিভিন্ন শিক্ষককে পদায়ন সহ বিভিন্ন সেক্টরের দায়িত্ব দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করা হচ্ছে। নিউজে বলা হয়েছে রংপুরের জায়গা নিয়ে বাড়ি নির্মাণ করছেন অধ্যক্ষ আজিজার রহমান নিজ বাড়ি জমিজমা এবং নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অর্থ নিয়ে রংপুরে বসবাস করার মত ৪/৫ জন মিলে একটি ছোট ফ্লাট নির্মাণের কার চলমান রয়েছে বলে জানা যায় । শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়মনীতি মেনে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটিতে অধ্যক্ষ আজিজার রহমান নিয়মিত কলেজে উপস্থিত থাকেন এবং পাঠদান দিয়ে থাকেন তিনি বলেন গ্রুপিং না করে নোংরা মন-মানসিকতা থেকে বের হয়ে কলেজ পরিচালনা সহায়তা করার জন্য আহবান রাখেন।